বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
হুগলির শ্রীরামপুর মহকুমার সহকারী কৃষি অধিকর্তা অরূপ পাঠক জানিয়েছেন, যেসব কৃষক শ্রী পদ্ধতিতে কিংবা সুনিশ্চিত ধান চাষ অর্থাৎ সুধা পদ্ধতিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন, তাঁদের এখন দু’টি বিষয়ে নজর দিতে হবে। প্রথমত, মূল জমিতে ধান রোয়ার ১০-১২দিন অন্তর ২-৩ বার হাত দিয়ে আগাছা তুলে ফেলে দিতে হবে। অথবা যন্ত্র ব্যবহার করে আগাছা তুলে তা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। আগাছা নিয়ন্ত্রণের ফলে ধান গাছ বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পাবে, ফলে ধান গাছের পাশকাঠির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তাতে ফলন বাড়ে। আগাছা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। শ্রী পদ্ধতিতে যেসব কৃষক বোরো চাষ করেছেন, তাঁদের জমিতে মোটেই বেশি জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ৩-৫দিন অন্তর সেচ দিয়ে জমি ভিজিয়ে রাখলেই চলবে। শ্রী পদ্ধতিতে ধান চাষের জন্য ১৫-২০ ফুট অন্তর সেচ নালা রাখতে হয়। এইসময় কৃষককে নিয়মিত জমি পরিদর্শন করতে হবে। পাতা মোড়া পোকা বা ল্যাদা জাতীয় পোকার বংশবৃদ্ধি আটকাতে জমিতে পাখি বসার ডাল পুঁতে দিতে হবে। বিঘায় ৮-১০টি এ ধরনের ডাল পুঁতে দেওয়া যেতে পারে। অযথা কীটনাশক ব্যবহার না করাই ভালো।
অন্যদিকে, বোরো ধানের এই সময়ের পরিচর্যা নিয়ে মালদহের কৃষি আধিকারিক হৃষিকৃষ্ণ দে বলেছেন, যেসব কৃষকের জমিতে চারার বয়স তিন সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের প্রথম চাপান সার দিতে হবে। ধানের জাত অনুযায়ী চাপান সারের মাত্রা নির্ভর করে। ফলে সুপারিশ মাত্রায় চাপান দিতে হবে। তবে সবসময় আগাছা নিয়ন্ত্রণ করে তবেই চাপান দিতে হবে। মূল সারের সঙ্গে ২৫ শতাংশ নাইট্রোজেন ঘটিত সার আগেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ফলে প্রথম চাপানে বাকি ৭৫ শতাংশের মধ্যে ৫০ শতাংশ নাইট্রোজেন ঘটিত সার দিতে হবে।
চারার বয়স ৬ সপ্তাহ হলে দ্বিতীয় চাপান সার দিতে হবে। সেইসময় অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ নাইট্রোজেন ঘটিত সার প্রয়োগ করতে হবে। জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণ রুখতে জমিতে ফেরোমেন ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে। নতুবা নিমতেল ১০ হাজার পিপিএম স্প্রে করতে পারেন চাষি।
দ্বিতীয় চাপান সারের সঙ্গে ২৫ শতাংশ পটাশ ঘটিত সার প্রয়োগ করতে পারলে ভালো। ধান গাছে কাচ থোড় আসার আগেই দ্বিতীয় চাপান দিতে হবে। কৃষি আধিকারিকদের সুপারিশ, দ্বিতীয় চাপান দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওভাবেই যেন দেরি না হয়। তা হলে ধান চিটে হয়ে যাবে।
মার্চের শেষে দিকে ঝলসার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। সেইসময় ধান গাছের ডগা যদি শুকিয়ে যায়, তা হলে সর্বাঙ্গবাহী ছত্রাক নাশক স্প্রে করলে সুফল মিলবে। -নিজস্ব চিত্র