আলিয়া ভাটের আজ জন্মদিন। আর এই বিশেষ দিনটায় নিভৃতে বয়ফ্রেন্ড রণবীরের সঙ্গে কাটাবেন তিনি? আলিয়ার হাবভাব দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে। আলিয়া তাঁর সমস্ত কাজ থেকে একদিন ছুটি নিয়েছেন। রণবীরের সঙ্গেই এই বিশেষ দিন কাটানোর পরিকল্পনা।
এই মানুষগুলোকে আমরা চিনতাম। ওঁরাও চিনতেন আমাদের। হারিয়ে যাওয়া ছোট দোকানের মাঝবয়সি দোকানদারদের। শুধু মাত্র চাল, ডাল, নুন, তেল বিক্রি করা দোকানদার নয়, নিজের অঞ্চলের অলিখিত অভিভাবক হয়ে উঠতেন তারা। এঁরাই সেই বিরল মনুষ্য সম্প্রদায়, যাঁরা অজস্র মানুষের নিম্নবিত্ত জীবনে টাকা না থাকার বিড়ম্বনা মুছে দিতেন অস্পষ্ট হাতে খাতা লিখে।
আলোচনায় হৃতিক রোশন আর সুজান খান। ডিভোর্সের প্রসঙ্গ উঠলেই ওঁদের বন্ধুত্বে মোড়া সম্পর্ক পরখ করতে মন চায়। এই তো সেদিন আবারও একত্রে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন হৃতিক-সুজান।
নতুন ছবির প্রচারে দারুণ চমক। চণ্ডীগড় থেকে প্রোমোশন শুরু করল টিম ‘মিলন টকিজ’। ছিলেন অভিনেতা আলি ফজল, শ্রদ্ধা শ্রীনাথ ও সিকন্দর খের, পরিচালক তিগমাংশু ধুলিয়া এবং প্রযোজক পি এস ছটওয়াল। ‘মিলন টকিজ’-এর সাফল্য নিয়ে ইতিমধ্যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা।
বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এক বসন্তসন্ধ্যায় কলামন্দিরে প্রেমের দুই ভিন্ন রূপ প্রত্যক্ষ করলেন দর্শক। প্রথম প্রেমের নায়ক এক সুপারস্টার। সিনেমার সঙ্গে নায়কের প্রেম। পরের প্রেম আবার এক উঠতি গায়কের সঙ্গে নবীন কবির। এই দুই প্রেম গাঁথা রইল ‘বসন্ত সন্ধ্যায় প্রেমের জ্যোৎস্নায়’ অনুষ্ঠানে। প্রথম পর্বে দর্শকের দরবারে চায়ের আড্ডায় হাজির ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ১৯৮৫ সালে অভিনেতা প্রসেনজিতের যাত্রা শুরু। প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর বহু চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবকসম। সিনেমাকে সঙ্গী করে প্রসেনজিতের এই পথচলার গল্পই ছিল এইদিনের আড্ডার বিষয়। ৩৫ বছরে সাড়ে তিনশোর বেশি ছবি করেছেন। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবেও নেহাত কম নয়। যদিও তিনি নিজে এগুলো একেবারেই মনে রাখতে চান না। ‘৩৫ বছর না সাড়ে তিন বছর সেটা সত্যি আমি জানি না। তবে হ্যাঁ, এতদিন ধরে দর্শক যে আমাকে ভালোবেসেছেন সেটাই বড় কথা। এখনও কাজ করছি,আগামী দিনেও কাজ করতে চাই। এখন দর্শক আর সিনেমার ভাষা দুই বদলেছে। সেইসব মাথায় রেখেই আগামী দিনে আরও ভালো ও অন্যরকম কাজ করতে চাই’, বললেন অভিনেতা স্বয়ং। তবে এমন গুরুগম্ভীর আলোচনার পাশে বেশ কিছু অজানা অথচ মজাদার বিষয়ও জানা গেল আড্ডায়। ‘আগে দিনে চল্লিশ কাপ চা খেতাম’, ‘ডায়েটের জন্য ১৪-১৫ বছর টানা শুধু দই-শশা খেয়েছি’, ‘রেগে গেলে উচ্ছেভাজা খাই’-এর মতো অনেক কথাই শেয়ার করলেন। কথা বললেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং, ধীরে গাড়ি চালানোয় বিশ্বাসী থেকে রাজনীতি পছন্দ নয় এসব নিয়েও। এখনও যে মাঝরাতে নায়ক-সুপারস্টারের অনুরাগীরা হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেজ পাঠান সেকথাও স্বীকার করলেন অবলীলায়। নায়কসুলভ ম্যানারিজম ঝেড়ে আড্ডায় ধরা দিলেন সকলের প্রিয় বুম্বাদা হয়ে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধে কবি-গায়কের প্রেম জমে উঠল ‘অভিসারী ইনবক্স’-এ। এটি কথায় গানে সাজানো একটি শ্রুতিনাটক। রায়া ভট্টাচার্যের ভাবনাকে কলমে রূপ দিয়েছেন অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়। মঞ্চে কবিরূপে রায়া আর গায়কের চরিত্রে রূপঙ্কর। সোশ্যাল মিডিয়ায় গায়ক ভাস্কর সেনের সঙ্গে আলাপ হয় উঠতি কবি শর্মিলার। তারপর বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, বিরহ, পরিণতি। কখনও শর্মিলা-ভাস্করের কথপোকথনে, কখনও শর্মিলার কবিতায় আবার কখনও ভাস্করের গানে-এই প্রেম পূর্ণতা পায়। রূপঙ্কর গায়ক ভাস্কর চরিত্রটিকে আরও জীবন্ত করেছেন গানে। তাঁর পরিবেশনায় ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘খেলাঘর বাঁধতে লেগেছি’, ‘তোমার অসীমে’, ‘ভালোবেসে সখী’, হিন্দি ছবির গান ‘আভি না যাও ছোড়কে’ থেকে বাংলা আধুনিক গান, গজল। রায়ার পাঠ ও কণ্ঠের জাদুতে শ্রুতিনাটকের শর্মিলাও যেন একেবারে রক্তমাংসের মানবী হয়ে উঠেছিল। দুই পর্বের দুই ভিন্ন আঙ্গিকের প্রেম দর্শকও মনপ্রাণ দিয়ে আস্বাদন করলেন।
মানসী নাথ
ছবি: ভাস্কর মুখোপাধ্যায়
