Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মণিকূটের বিগ্রহ, পর্ব-৩১
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

তিব্বতের লোহিত সরোবর থেকে বয়ে আসা সাংমা (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে পাহাড় নদী ও নানা দেব-দেবীর মন্দিরে ভরা এক অন্য তীর্থভূমির কথা এবার বলব। তার কারণ স্থানটি গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে— হাজো। এটি হল নানা ধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্র। অনেকেই কিন্তু এই স্থানটির সম্বন্ধে পরিচিত নন।
এখানকার বিখ্যাত জয়গ্রীব মাধবের মন্দিরকে নিয়েই হাজোর প্রসিদ্ধি। প্রকৃতির এক সুরম্য স্থানে এই পুণ্যতীর্থ হাজো।
কামরূপে কামাখ্যা দর্শনে এলে এক যাত্রাতেই যাতে জয়গ্রীব মাধবের দর্শন পান যাত্রীরা সে কারণেই দেবী মহিমা প্রকাশের মধ্যে মাধব শরণং।
গুয়াহাটি রেল স্টেশনের কাছ থেকে ব্রহ্মপুত্রের কোল ঘেঁষে মিনিটে মিনিটে যাচ্ছে হাজোর বাস। সেই বাসেই আমি চলেছি মাধবের পুণ্যভূমি দর্শনে। ব্রহ্মপুত্রের উত্তর সেতু পার হয়ে আমিনগাঁওয়ের মাটি ছুঁয়ে বাস বাহনে একসময় হাজোতে এলাম।
স্থানীয় দুর্গামন্দিরের পাশে মস্ত একটি তালাওয়ের ধারে নামলাম বাস থেকে। দু’-একজনকে জিজ্ঞেস করে জানলাম হাজোর মূল আকর্ষণই হল মণিকূট পর্বতের ওপর জয়গ্রীব মাধবের মন্দির। দুর্গা মন্দিরের পাশ দিয়ে তালাওয়ের ধারে ছোট্ট একটি পাহাড়ের ওপর খাড়াই সিঁড়ি বেয়ে উঠলেই মাধবের মন্দির।
আমি কিছুক্ষণ তালাওয়ের ধারে দাঁড়িয়ে মৎস্যক্রীড়া দেখে মণিকূটের পাদদেশে এলাম। এই পর্বতটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে একশত বাহু পরিমিত। এখান থেকেই ধাপে ধাপে সিঁড়ি উঠে গেছে মন্দিরের প্রধান প্রবেশপথের দিকে। আমি মাধবের জন্য তুলসীপাতার মালা, ফুল ও এলাচি দানা নিয়ে দর্শনে গেলাম। প্রবাদ, এই মণিকূট পর্বতে এক এক ধাপ উঠলে লক্ষ লক্ষ পাপ টুটে যায়।
যোগিনীতন্ত্রে হাজো বিষ্ণুপুষ্কর নামে উল্লেখিত। হাজো আগে মণিকূট নামেই অভিহিত ছিল। মণিকূট পর্বতে মাধব মন্দির নির্মিত হয়েছিল অষ্টম শতাব্দীতে। একাদশ শতাব্দীর পর অহোম, কোঁচ ও পালবংশের রাজাদের শাসনাধীনে ছিল হাজো। হাজো নামের মধ্যেও অনেকের ধারণা অসমিয়ার ‘হা’ শব্দের অর্থ মাটি। আর ‘গজো’ শব্দের ‘জো’ হচ্ছে পবিত্র ভূমি। এরই সরলীকরণে হাজো। যেহেতু হাজো মুসলমানদেরও এক পবিত্র তীর্থস্থান এবং এখানকার মহিমা মক্কার পোয়া অংশের অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশের মতো পবিত্র তাই একে পোয়া মক্কাও বলে।
যাইহোক, আমি পূজার ডালি হাতে নিয়ে খাড়াই বেয়ে মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছলাম। মুগ্ধ হলাম মন্দিরের প্রাকৃতিক অবস্থান দেখে। হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধ ধর্মের এমন মিলনভূমি আর কোথাও কিন্তু আমি দেখিনি।
লোকমুখে শুনলাম এই পর্বতের গভীর জঙ্গলে অতীতে উর্ব নামে এক ঋষি তপস্যা করতেন। সেই সময় জয়গ্রীব নামে এক দানব খুব অত্যাচার করত ঋষির ওপর। ঋষি তাই বিষ্ণুর শরণ নিলে বিষ্ণু এসে যুদ্ধ করেন জয়গ্রীবের সঙ্গে। সেই যুদ্ধে জয়গ্রীব নিহত হলে বিষ্ণু জয়গ্রীব মাধব নাম নিয়ে শিলারূপ ধারণ করে এখানে বিরাজ করতে থাকেন।
আরও একটি কাহিনী প্রচলিত আছে এখানে। সেটি হল শ্রীবিষ্ণু অনন্তশয়নে থাকা অবস্থায় ব্রহ্মা এবং তাঁর নাভিকমলে বসে সৃষ্টি চিন্তা করার সময় মধু ও কৈটভ নামে দুই দানব তাঁর বেদ চারখানি চুরি করে নিয়ে পালায়। ব্রহ্মার ধ্যান ভঙ্গ হলে তিনি সে কথা বিষ্ণুকে জানান। বিষ্ণু তখন ধ্যানযোগে সব জেনে জয়গ্রীব দানবের রূপ ধরে এই পর্বত থেকে বেদ চারখানি উদ্ধার করেন। বিষ্ণু জয়গ্রীব রূপ ধারণ করেছিলেন বলেই এখানকার বিগ্রহের নাম হয় জয়গ্রীব জনার্দন বা জয়গ্রীব মাধব।
মাধব মন্দিরের কাছেই আছে ধনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মীর মন্দির।
প্রথমেই আমি মাধব মন্দিরে পুজো দিলাম। বিগ্রহ দর্শনে এমনই অভিভূত হলাম যে তা বলবার সাধ্য আমার নেই। পূজারী ব্রাহ্মণ অনেক মন্ত্রধ্বনিতে পূজা করিয়ে ভাবাবেশে আপ্লুত করলেন আমাকে। আমার নিয়ে যাওয়া তুলসী মালা বিগ্রহের গলায় পরিয়ে অন্যের মালা বিগ্রহের গলা থেকে নিয়ে প্রসাদ হিসেবে আমাকে দিলেন। তারপর যা বললেন, তা দারুণ চমকপ্রদ। উনি বললেন, ‘আপনি শ্রীক্ষেত্রে গেছেন কখনও জগন্নাথ দর্শনে?’ বললাম, ‘বহুবার।’
‘এখানে এই যে জয়গ্রীব মাধবকে দেখলেন এই মূর্তি সেই একই উপাদানে গড়া।’
জানতে চাইলাম, ‘কীরকম!’
উনি বললেন, ‘পুরীর জগন্নাথ দেবের মূর্তি নির্মাণ সম্বন্ধে যে কাহিনী প্রচলিত আছে এই কাহিনী তার সম্পূর্ণ বিপরীত। শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথের মূর্তি যে উপাদানে সৃষ্টি হয়েছিল জয়গ্রীব মাধবের মূর্তিও সেই একই উপাদানে নির্মিত। সেকালে ওড়িশার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন তীর্থস্থান হিসেবে ওড়িশার কোনও অঞ্চলকে প্রসিদ্ধ করার জন্য এবং সেখানে দেবমূর্তি প্রতিষ্ঠাকল্পে এক যজ্ঞ করেন। যজ্ঞ সমাপনান্তে এক রাতে ইষ্টচিন্তা করে স্বপ্ন দেখলেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে বলছেন, ‘আমি তোমার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়েছি। কাল ভোরে তুমি একখানি কুঠার হাতে নীলাচলে সমুদ্রতীরে একাকী গমন করবে। সেখানে এক নামহীন অদ্ভুত বৃক্ষ দেখতে পাবে। সেই বৃক্ষটিকে স্বহস্তে সপ্তখণ্ডে ভাগ করবে। মূল খণ্ড দিয়েই আমার মূর্তি নির্মাণ করে বিধিমতো প্রতিষ্ঠা করবে যথাস্থানে।’ স্বপ্নভঙ্গে রাজা অতি প্রত্যুষে কুঠার হাতে একাই চললেন সমুদ্রতীরে। গিয়েই দেখতে পেলেন সেই নামহীন মহান তরু।
স্বপ্নের নির্দেশমতো রাজা সেই কল্পদ্রুমকে সাত খণ্ডে ছেদন করলেন এবং মূল খণ্ড দিয়েই নির্মাণ করলেন শ্রীজগন্নাথদেবের মূর্তি। বলভদ্রদেব ও সুভদ্রার মূর্তিও তৈরি হল আরও দুই খণ্ডে। চতুর্থ খণ্ডটির দ্বারা কাশ্মীরে আদিত্য বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা করলেন। পঞ্চম খণ্ডটি নিলেন শুক্রাচার্য। তাই দিয়ে তিনি শেণ্যদিত্য ভগবানের বিগ্রহ স্থাপন করলেন। পরে দেবগুরু বৃহস্পতি ওই বিগ্রহকে শিলামূর্তিতে রূপান্তরিত করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। ষষ্ঠখণ্ডটি বরুণদেব নিয়ে এলেন কামরূপে। তার এক ভাগ, মলয়গিরিতে এবং ঊর্ধ্বভাগ এই মণিকূট পর্বতে মাধবমূর্তি রূপে প্রতিষ্ঠা করলেন। সপ্তম খণ্ডটি নিলেন কুবের। সেই খণ্ড দ্বারা তিনি নান্দীশ ভগবানের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। মূর্তিটি উত্তর লখিমপুরে বিরাজিত। ইনি মৎস্যাক্ষ মাধব নামে অভিহিত।
পুরোহিতের মুখে এই অভিনব কাহিনী শুনে ধন্য হলাম।
পরে আরও শুনলাম, এক শ্রেণীর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে, গৌতম বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ এখানেই হয়েছিল। তাঁদের মতে কুশীনগর অন্য কোথাও নয়, এই হাজোতেই। হাজোর নাম তখন ছিল কুশবৈ। এই কুশবৈই কুশীনগর। গৌতমবুদ্ধ এখানেই সশিষ্য মদনাচল পর্বতে দক্ষিণমুখী হয়ে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। এবং তাঁর দেহটি শিষ্যরা মদনাচল পর্বত থেকে নিয়ে এসে মণিকূট পর্বতেই দাহ করেন। (ক্রমশ)
অলংকরণ : সোমনাথ পাল 
13th  October, 2019
মেট্রোর দুপুর

সিঁড়ির শেষ ধাপে পৌঁছে দাঁড়িয়ে পড়ল দীপন। কারণ দুটো— এক, এতগুলো সিঁড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে উঠে একটু না দাঁড়ালে আর পারা যাচ্ছিল না। দুই, সামনে মধ্য দুপুরের কলকাতা বৈশাখের রোদে ঝলসাচ্ছে। পা রাখার আগে এটাই শেষ সুযোগ। পকেট থেকে সেলফোনটা বের করল। বসে পড়ল মেট্রোর সিঁড়িতে। চোখ রাখল স্ক্রিনে। 
বিশদ

21st  April, 2024
অথ দাম্পত্যচরিতম
সোমজা দাস

যে লোকটা ফুলকুল্লি স্টেশনের লাগোয়া বিন্তিমাসির চায়ের দোকানে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল আর শুক্কুরবার বেলা এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি বসে থাকে, ওই যে যার মাথায় খড়খড়ে মরচে রঙের চুল, গালে চটামটা লালচে দাড়ি, উদাস চোখ, তার কথা বলছি। সে-ই দশানন দাস।    বিশদ

07th  April, 2024
ছোট গল্প: বন্ধনহীন গ্রন্থি
বিতস্তা ঘোষাল

—অনেকদিন তোমার পোস্ট আমার অ্যাকাউন্টে দেখাচ্ছে না। আজ একজন বললেন, তোমার হ্যাজব্যান্ড চলে গেলেন। তিনি তোমার পেজ শেয়ারও করলেন। আমি জানতাম না অনিকেত তোমার স্বামী। ওঁর সঙ্গে বহুদিন আগে আমার দেখা হয়েছিল। বিশদ

31st  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: দারা শিকোহের গ্রন্থাগার
সমৃদ্ধ দত্ত

রামায়ণকে বুঝতে হলে, হিন্দু শাস্ত্রের অন্তর্নিহিত দর্শনকে আত্মস্থ করতে হলে, যোগ বশিষ্ট পাঠ করা দরকার। আর শুধু পাঠ করা নয়, প্রজাদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্র দারা শিকোহকে একথা বলেছিলেন দরবারের অন্যতম হিন্দু পণ্ডিত চন্দ্রভান ব্রাহ্মণ। বিশদ

31st  March, 2024
অতীতের আয়না: হারিয়ে যাওয়া হাড়গিলে পাখি
অমিতাভ পুরকায়স্থ

নিউ মার্কেটের পূর্ব ও পশ্চিম গেটের একটু উপরের দিকে সবুজ বৃত্তাকার জায়গাটার দিকে কখনও নজর করেছেন? খেয়াল করলে দেখবেন একটি এমব্লেম বা প্রতীক। কলকাতা পৌরসংস্থার এই মোহরচিহ্ন শহরের প্রতীক হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিশদ

31st  March, 2024
সম্পর্ক
অর্পিতা সরকার

 

ওদের তিনতলা বাড়ি, বাবা সরকারি চাকুরে। সুস্মিতা ওর বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারপরেও বাবার সাধারণ জীবনযাত্রার কারণেই স্কুল-কলেজে কখনও সেভাবে গর্ব করতে পারেনি সুস্মিতা। ওর বাবার মুখে একটাই কথা, ‘নিজে ইনকাম করো, তারপর বুঝবে রোজগার করতে কত কষ্ট করতে হয়। বিশদ

24th  March, 2024
তবু যেতে হয়

—কাজটা তালে ছেড়েই দিলি সুবি!
সুবি উত্তর দেয় না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সে। লাঙলপোতা গ্রামের ছোট্ট বাড়ির মাটির বারান্দার এক কোণে দাঁড়িয়ে পায়ের উপর পা ঘষে সুবিনয়। এ তার দীর্ঘ দিনের অভ্যেস। ঘরের ভিতরে তার শয্যাশায়ী মা অলকা। শুয়ে শুয়েই সান্ত্বনা দেন।
বিশদ

17th  March, 2024
গুরুদ্বার সিস গঞ্জ

দিল্লি দেখতে এসে চাঁদনী চক যাওয়া হবে না? তা কীভাবে হয়? অতএব দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের অত্যন্ত প্রিয় ভ্রমণস্থল চাঁদনী চক।
বিশদ

17th  March, 2024
দেখা যায় না, শোনা যায় পুতুল বাড়ি
 

আকর্ষণ, বিতর্ক, কৌতূহলের চিরন্তন কেন্দ্রবিন্দু অলৌকিক দুনিয়া। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী দুই শিবিরেরই এব্যাপারে আগ্রহ ষোলোআনা। তাই ভৌতিক সাহিত্য হোক বা সিনেমা, বাজারে কাটতি বরাবরই বেশি।
বিশদ

17th  March, 2024
প্রস্থান
দীপারুণ ভট্টাচার্য

শববাহী গাড়িটা গেটের ভিতর ঢুকতেই অরুণবাবু চারপাশটা দেখলেন। বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আছে তার ছেলে নীলাঞ্জন আর বউমা সুতপা। নীলাঞ্জন বড় চাকরি করে। সে ফোন পেয়েছিল অফিসে যাওয়ার পর। সুতপাকে বলেছিল, ‘বেরতে একটু সময় লাগবে। বিশদ

10th  March, 2024
গুপ্ত রাজধানী: জাহান আরার সমাধি
সমৃদ্ধ দত্ত

নভরোজ পরব চলছে। আগ্রা জুড়ে উৎসবের উচ্ছ্বাস। এখন ১৬৪৪। বাদশাহ শাহজাহানের আগ্রা দুর্গে সবথেকে বেশি উজ্জ্বল আয়োজন। স্বাভাবিক। প্রতি বছর নভরোজের সময় আগ্রা দুর্গ এভাবেই সেজে ওঠে। সম্রাটের পুত্রকন্যারা এই সময়টায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হন। বিশদ

10th  March, 2024
অতীতের আয়না: বাঙালির সার্কাস
অমিতাভ পুরকায়স্থ

১৯২০ সালের ২০ মে। নিজের ‘গ্রেট বেঙ্গল সার্কাস’ নিয়ে সিঙ্গাপুরে ট্যুরে গিয়ে জন্ডিস হয়ে মারা গেলেন প্রিয়নাথ বসু। শুধু উপমহাদেশের সার্কাসের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও উৎকর্ষের নতুন মানদণ্ড ছাড়াও, বিনোদন শিল্প হিসেবে সার্কাসকে দৃঢ় ভিত দিয়ে গেলেন তিনি। বিশদ

10th  March, 2024
ভোগ
শুচিস্মিতা  দেব

পুতুলকে সদ্যই নিমতিতা থেকে ‘রায়চৌধুরী ভিলা’তে এনেছে তার পিসি সবিতা। সবিতা এই পরিবারের বহু দিনের থাকা-খাওয়ার মাসি। টিভি সিরিয়ালের মতো প্রকাণ্ড বাড়িখানা দেখে পেরথমেই ভেবলেছে পুতুল। ফুটবল মাঠের মতো বৈঠকখানা। বিশদ

03rd  March, 2024
রুপোর চাকু

আলমারিটা খুলতেই দাদার চোখ চলে গিয়েছিল। উপরের তাকে জামা কাপড়ের পাশে খালি জায়গায় শোয়ানো ছিল। বাজপাখির চোখ দাদার।
বিশদ

25th  February, 2024
একনজরে
বুধবার রাতে নদীয়ার কালীগঞ্জের বল্লভপাড়ায় দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হল। বাইকের গতি এতটাই বেশি ছিল যে এক যুবক ছিটকে একটি টোটোর কাচ ভেঙে ঢুকে যান। ...

ভোট মরশুমে চোখ রাঙাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত গরম। আজ, শুক্রবার, লোকসভার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার আগামী পাঁচদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশের ...

লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে হামলার ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম ইন্দরপাল সিং গাবা। তিনি ব্রিটেনের হাউন্সলোরের বাসিন্দা। দিল্লি থেকে ...

রক্তক্ষরণ আটকাতে পারবে কি সিপিএম? আটকানো যাবে কি বামের ভোট রামে যাওয়া? —মূলত এই দু’টি প্রশ্নই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। ব্রিগেড ভরাতে পারলেও ভোটবাক্স ভরাতে পারবেন কি না, তা নিয়েই এখন চিন্তিত সিপিএমের বঙ্গ রাজনীতির কুশীলবরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৮৪- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁর জন্ম
১৮৯৭- বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক নীতীন বসুর জন্ম
১৯২০- ভারতীয় গণিতবিদ শ্রীনিবাস রামানুজনের মৃত্যু
১৯২৪- সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যালের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫০ টাকা ৮৪.৯৩ টাকা
পাউন্ড ১০১.৪৭ টাকা ১০৫.৯২ টাকা
ইউরো ৮৭.১৪ টাকা ৯১.১৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৫৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া ৬/১৩ দিবা ৭/৪৭। অনুরাধা নক্ষত্র ৫৮/৪০ রাত্রি ৩/৪০। সূর্যোদয় ৫/১১/৩০, সূর্যাস্ত ৫/৫৭/২৪। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৪ গতে ১০/১৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৮ গতে ৮/৫৭ মধ্যে পুনঃ ২/৫৭ গতে ৩/৪১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪১ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
১৩ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪। দ্বিতীয়া দিবা ৬/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র রাত্রি ২/২৬। সূর্যোদয় ৫/১২, সূর্যাস্ত ৫/৫৯। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/১৫ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১১ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৪ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৭ গতে ১০/১১ মধ্যে। 
১৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ৮ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব

11:31:28 PM

আইপিএল: ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি শশাঙ্ক সিংয়ের, পাঞ্জাব ২৪৬/২ (১৭.৪ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:26:31 PM

আইপিএল: ৪৫ বলে সেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ২১০/২ (১৬.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

11:13:32 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট রাইলি রুশো, পাঞ্জাব ১৭৯/২ (১৩ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:56:50 PM

আইপিএল: ২৪ বলে হাফসেঞ্চুরি জনি বেয়ারস্টোর, পাঞ্জাব ১২০/১ (৯.১ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:36:30 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট প্রভসিমরন, পাঞ্জাব ১০৭/১ (৭.৫ ওভার) টার্গেট ২৬২

10:29:44 PM