Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। সাইনবোর্ডে লেখা ‘ইউ.এন. দাস অ্যান্ড কোম্পানি’। এটাই তো কোড ওয়ার্ড! এগিয়ে গিয়ে খুব সতর্কভাবে টোকা দিতেই দরজা খুলে দিলেন এক ব্যক্তি, সুবোধ চক্রবর্তী। গোপন বার্তা হাতে দেওয়ার আগে একবার পরখ করার নির্দেশ আছে... ‘আমি বিমা কোম্পানির হেড অফিস থেকে আসছি!’ কথাটা শুনেই সুবোধবাবুর মুখ থেকে পূর্ব নির্ধারিত কিছু শব্দ বেরিয়ে এল। নিশ্চিন্ত হয়ে সেই অপরিচিত ব্যক্তি এবার খামে মোড়া বিমার কাগজগুলি তুলে দিলেন তাঁর হাতে। অপেক্ষা করার সময় নেই। নবাবপুর রোডের অন্ধকারে সেই ব্যক্তি মিলিয়ে যেতেই টেবিল ল্যাম্পের আলোয় খামে থাকা বিমার কাগজগুলি খুঁটিয়ে পড়তে শুরু করলেন সুবোধবাবু। বার্তা এসেছে, বসে থাকার সময় নেই। দেশে প্রবল আন্দোলন চাই। নির্ভুল কর্মপদ্ধতিতে এগিয়ে যেতে হবে। গোয়েন্দা বিভাগকে ফাঁকি দিয়ে এই বার্তা পৌঁছে দিতে হবে সারা দেশে। বিদেশের মাটিতে গড়ে উঠেছে আজাদ হিন্দ বাহিনী। নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুভাষচন্দ্র বসু। ভারতে একটি গণবিদ্রোহ চাইছেন তিনি। দেশে তাঁর অনুগত সেনাদল কাজ চালাচ্ছে সেই লক্ষ্যে। পুলিসের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাকা ব্যবসায়ী, ধর্মপ্রচারক, শিক্ষক, এমনকী ব্রিটিশ সরকারের অনুগত কর্মচারী রূপে বিপ্লবী আদর্শ প্রচার করছে। এর পরেও পুলিসের নজরে এলে নেওয়া হবে অন্য কৌশল।
কী সেই কৌশল? সবচেয়ে নিরাপদ ছদ্মবেশ। বিমা কোম্পানির এজেন্ট। দেশে থাকতেই এই ব্যবস্থা করে গিয়েছেন স্বয়ং সুভাষচন্দ্র। ‘ট্রপিক্যাল ইনস্যুরেন্স’। তার আড়ালে দেশজুড়ে বিপ্লবী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। সেই ইতিহাসে যে নামটি সর্বাগ্রে উঠে আসে, সেটি ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে ‘ইন্টেলিজেন্স ওয়ারফেয়ার’ শুরু হয় এই সংগঠনের হাত ধরেই। আসলে কয়েকজন সাহেব বা পুলিস অফিসারকে নিকেশ করে যে দেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়, সেটা জানতেন সুভাষচন্দ্র। বুঝেছিলেন, এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। সেই কারণেই ১৯২৮ সালে কলকাতা কংগ্রেসকে সামনে রেখে তিনি তৈরি করেন— ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’। বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষের অনুগামী সত্যরঞ্জন বক্সী, সত্য গুপ্ত, সুপতি রায়, রসময় শূর, নিকুঞ্জ সেন, জ্যোতিষ জোয়ারদাররা পরবর্তীকালে কাঁধে তুলে নেন সেই সংগঠনের দায়িত্ব। এক বছরের মধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েন সেই স্বেচ্ছাসেবকরা। ১৯৩০ সালে ঢাকায় বিনয় বসুর লোম্যান হত্যা, অলিন্দ যুদ্ধ, মেদিনীপুরে তিন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পেডি, ডগলাস ও বার্জকে হত্যা, কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট স্টিডেন্স হত্যার পাশাপাশি দেশজুড়ে চলতে থাকে সুভাষচন্দ্রের সংগঠনের কাজ। 
১৯৩৫ থেকে ১৯৩৭, জেলবন্দি হলেন সংগঠনের সমস্ত নেতা। ১৯৩৮ সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন সুভাষচন্দ্র। সঙ্গে সঙ্গেই ফের সক্রিয় হয়ে উঠল ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন। আন্তর্জাতিক রণক্ষেত্রের সঙ্গে ভারতের সশস্ত্র সংগ্রামকে সম্পৃক্ত করতে সুভাষচন্দ্র রচনা করলেন প্রেক্ষাপট। কিন্তু এই কর্মকাণ্ডের জন্য যে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তার জন্য বিশেষ এক কৌশল নিলেন তিনি। ব্রিটিশ সরকারের নাকের ডগা দিয়েই বৈধভাবে অর্থের সংস্থান হল। লালা শঙ্করলাল ছিলেন সুভাষচন্দ্রের বিশ্বস্ত সঙ্গী। তাঁকে দিয়েই পুনরুজ্জীবন হল ট্রপিক্যাল ইনস্যুরেন্সের। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২৭ সালে। জাতীয়তাবাদী নেতা হাকিম আজমল খান, ডঃ মহম্মদ আনসারির হাত ধরে। কিন্তু সেটি বেশিদিন টেকেনি। তিনের দশকে শঙ্করলালকে দিয়ে তা আবার চালু করেন নেতাজি। স্বয়ং সুভাষচন্দ্র হলেন কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের চেয়ারম্যান। জেলফেরত বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের বিপ্লবীদের একটা নিরাপদ আশ্রয় প্রয়োজন। সকলে মিলে চাকরি নিলেন এই ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে। কারণ, বিমা এজেন্ট হিসেবে দেশজুড়ে কাজ করার সুবিধা মিলবে।
ভারতে কাজ করতে আসা সাহেব কর্মচারীদের বিমা করাতো ট্রপিক্যাল ইনস্যুরেন্স। সংস্থার নিত্য নতুন চটকে আকৃষ্ট হন অনেক উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ কর্তাও। সময়মতো ইনস্যুরেন্সের সুফলও পেতেন। ফলে কখনও কোনও সন্দেহ হয়নি। আর সেই বিমা কোম্পানির ছত্রছায়ায় একটু একটু করে বোনা হয়েছিল বিপ্লবের বীজ।
জার্মানি, ইতালি, রাশিয়া সহ ইউরোপের একাধিক দেশের বহু কোম্পানি সেসময় ভারতে। তেমনই একটি সংস্থা, হ্যাভারো ট্রেডিং কোম্পানির ম্যানেজার হয়ে বোম্বাই শহরে পা রাখেন অসওয়াল্ড উখস্। প্রকাশ্যে কর্পোরেটের মুখোশ, আসল লক্ষ্য জার্মান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ভারতের সশস্ত্র সংগ্রামে সহায়তা করা। কারণ, ব্রিটেনকে ভারতীয় উপনিবেশে যুদ্ধে জড়াতে পারলে ইউরোপের রণাঙ্গনে তাদের পরাস্ত করা সহজ হবে। সেই সমীকরণ মাথায় রেখেই সুভাষচন্দ্রের নির্দেশে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের প্রতিষ্ঠাতা হেমচন্দ্র ঘোষ গেলেন উখসের কাছে, সাক্ষাৎপ্রার্থী হয়ে। ভারতের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক শক্তির সাহায্য গ্রহণের চেষ্টা চলতে লাগল পুরোদমে।
কিছুদিনের মধ্যেই রচিত হল নিখুঁত পরিকল্পনা। মধ্যরাত্রে দেশ ছাড়লেন সুভাষচন্দ্র। বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের শীর্ষস্থানীয়রা প্রায় সকলেই জেলে। বাইরে কাজের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন যতীশ গুহ, সুবোধ চক্রবর্তী, ভবেশ নন্দী, নিরঞ্জীব রায়, মনোরঞ্জন সেন, ধীরেন ঘোষ, কালীপদ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমল নন্দী, ক্ষিতি সেন, ফণী দাস, প্রফুল্ল ত্রিপাঠী, কামাখ্যা রায় প্রমুখ। কলকাতায় কাজ করছেন সত্যরঞ্জনের ভাই সুধীর বক্সী।
সুভাষচন্দ্র যে দিন ভারত ছাড়লেন, সেই দিনই অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি, ১৯৪১ ট্রপিক্যাল ইনস্যুরেন্সের সমস্ত কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। তবে এই কোম্পানির মাথায় যে সুভাষচন্দ্র রয়েছেন, তা বুঝতে পুলিসের সময় লাগে পাক্কা ১০ দিন। দেশ ছাড়ার জন্য এই ১০ দিনই সময় ছিল নেতাজির হাতে। তিনি যে বহুদিন ধরে মহানিষ্ক্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন, এই ঘটনাই তার প্রমাণ।
তদন্তে নেমে ট্রপিক্যাল ইনস্যুরেন্সের এজেন্ট তালিকায় থাকা বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের বিপ্লবীদের চিহ্নিত করে ব্রিটিশ পুলিস। রেহাই পাওয়ার উপায় ছিল না। প্রয়োজন পড়ে নতুন একটি ছদ্মবেশের। আগে থেকে তৈরি ছিল আরও একটি সংস্থা—‘ইউ. এন.  দাস অ্যান্ড কোম্পানি’। সেটির ছত্রছায়াতেই ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত আজাদ হিন্দ ফৌজের সিক্রেট সার্ভিসের কাজ চালিয়ে যায় বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ময়মনসিংহে এই সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের বাড়ির বাইরে এই কোম্পানির একটা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখতেন। তা দেখেই বিপ্লবীরা চিনে নিতেন নিরাপদ আশ্রয়। পূর্ববঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এভাবেই এমন সিক্রেট এজেন্টদের মধ্যে অন্যতম অমলেন্দু ঘোষ, অসিত ভৌমিক, অনিল সেন, চঞ্চল মজুমদার, ধীরেন সাহা রায়, অজিত রায় প্রমুখ।
কলকাতা, ঢাকা, বোম্বাই, উড়িষ্যা, দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশে (তৎকালীন যুক্তপ্রদেশ) ওই বিমা কোম্পানির নামের আড়ালে আজাদ হিন্দ ফৌজের হয়ে কাজ করতেন সুভাষ অনুগামীরা। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে নেতাজির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব ছিল কামাখ্যা রায়, যতীশ গুহ, রামকৃষ্ণ ক্ষেত্রী, হায়দার ইয়াকুব, আব্দুল রহমান, হরিবিষ্ণু কামাথের উপর। সুধীন পাল ও শান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে সেখানে প্রতিনিধি হিসেবেও পাঠানো হয়।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে চলা বিপ্লবী আন্দোলনের প্রধান শক্তিই ছিল বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স। আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার পর ভারতে ইন্টেলিজেন্স ওয়ারফেয়ারের দায়িত্ব স্বভাবতই তাদের কাঁধে অর্পণ করা হয়। আসলে আমরা যে সুভাষচন্দ্রকে জেনেছি, তার অন্তরালে কত বড় মাপের আন্তর্জাতিক নেতা ও ‘ইন্টেলিজেন্স কিং পিন’ লুকিয়ে, তার মূল্যায়ন এখনও হয়নি।
 
04th  February, 2024
আমরি বাংলা ভাষা
অনুপ বন্দ্যোপাধ্যায়

রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণ সেরে চায়ের দোকানে এসে বসলেন চণ্ডীবাবু। কাগজের দিকে হাত বাড়াতে যাচ্ছিলেন। আর মধ্যেই আমাকে দেখে বলে উঠলেন—
গুড মর্নিং স্যর, হ্যাপি বেঙ্গলি নিউ ইয়ার। বিশদ

14th  April, 2024
রহস্যময় গম্ভীরা

পুরীর গম্ভীরায় জীবনের শেষ আঠারোটা বছর কাটিয়েছিলেন শ্রীচৈতন্যদেব। অন্তর্ধানের আগে মহাপ্রভু অন্তিমবারের মতো বের হয়েছিলেন সেখান থেকেই। সেই গম্ভীরা ঘুরে ইতিহাস-রহস্যের অনুসন্ধান করলেন অনিরুদ্ধ সরকার। বিশদ

07th  April, 2024
জিপিও ২৫০

বুধবারের দুপুরবেলা। দোল-হোলি পর্বের টানা ছুটি কাটিয়ে এবার ছন্দে ফেরার পালা। কিন্তু একটু বড় ছুটি পেলেই মানুষের মতো শহরটাকেও জড়িয়ে ধরে আলস্য। অফিস-কাছারি খুলতেই আড়মোড়া ভাঙছে শহর। রাস্তাঘাটে অবশ্য তেমন ভিড় নেই। বিশদ

31st  March, 2024
অন্ধকূপেই ডাকঘরের জন্ম

শহরের বুক থেকে ইংরেজদের পুরনো কেল্লার সীমানা মুছে গিয়েছে কবেই। ফিকে হয়ে এসেছে নবাব সিরাজদ্দৌলার কলকাতা আক্রমণ, প্রথম যুদ্ধজয় এবং অন্ধকূপ হত্যার স্মৃতি। এমনটাই যে হবে, আগেই অনুমান করতে পেরেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ইংরেজরা।
বিশদ

31st  March, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
বইমেলার কড়চা

 ‘পাঁচটা টাকা দেবেন?’ —‘মানে কী! বইমেলাতেও ভিক্ষা!’ —‘ভিক্ষা নয়, দাবি।’ কথা বলতে বলতেই হাতে ধরিয়ে দিলেন একটি চটি বই—‘রুখা কবির ভুখা পদ্য।’ শীর্ণকায়, অপুষ্টিধ্বস্ত কবিকে সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেই চট করে পড়ে ফেললাম প্রথম দু’টি কবিতা।
বিশদ

28th  January, 2024
একনজরে
রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতে মধ্যস্থতা করতে ইউজিসি প্রাক্তন চেয়ারম্যান, নিয়েপা’র অধ্যাপক এবং সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যানদের নিয়ে নাগরিক কমিশন গঠিত হল। ...

রাজস্থানের সিকারে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় একই পরিবারের সাতজনের মৃত্যু হল। এর মধ্যে রয়েছেন তিনজন মহিলা ও দু’টি শিশু। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ ...

নিজেদের মধ্যে সব দ্বন্দ্ব ভুলে তমলুক লোকসভার প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে বলে তৃণমূল নেতাদের সাফ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হলদিয়ায় একটি হোটেলে তমলুক লোকসভার ...

একদিকে সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহাল, কেশব মহারাজরা। মঙ্গলবার ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে স্পিনারদের লড়াই আকর্ষণীয় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কণ্ঠ দিবস
হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে
১৮৫০:  মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ম্যারি তুসোর মৃত্যু
১৮৫৩: প্রথম ট্রেন চলল সাবেক বোম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া থেকে থানে পর্যন্ত
১৮৬৭: উড়োজাহাজের আবিষ্কারক উইলবার রাইটের জন্ম
১৮৮৯: অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের জন্ম
১৯১৬ - রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
১৯৫১: লেখক অদ্বৈত মল্লবর্মণের মৃত্যু
১৯৬৬: শিল্পী নন্দলাল বসুর মৃত্যু
১৯৭৮: অভিনেত্রী লারা দত্তর জন্
১৯৮৭: বিশিষ্ট অভিনেতা বিকাশ রায়ের মৃত্যু
২০২১: পিডিএফ ও ফটোশপের উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার কোম্পানি এডোবির সহ-প্রতিষ্ঠাতা চার্লস গ্যাসকির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৯৭ টাকা ৮৪.০৬ টাকা
পাউন্ড ১০২.৭৫ টাকা ১০৫.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৭৪ টাকা ৯০.১৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,১৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৫০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৩,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৩,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী ২০/১৫ দিবা ১/২৫। পুষ্যা নক্ষত্র ৫৯/৫৩ শেষ রাত্রি ৫/১৬। সূর্যোদয় ৫/১৯/২৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৩/৩২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ গতে ১০/২০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৩/২৩ গতে ৫/৪ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪০ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৬ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/৩০ গতে ৩/১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১১ গতে ২/৪৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/১৯ গতে ৮/৪৫ মধ্যে। 
৩ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২৮। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ৬/২৩। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৫/৫৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৩/২৭ গতে ৫/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২৩ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৬/৫৪ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ১/১২ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২০ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
৬ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: কেকেআরকে ২ উইকেটে হারাল রাজস্থান

11:51:57 PM

আইপিএল: ৫৫ বলে সেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ২২১/৮ (১৯.২ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:37:08 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট বোল্ট, রাজস্থান ১৮৬/ ৮(১৭.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:27:00 PM

আইপিএল: ২৬ রানে আউট পাওয়াল, রাজস্থান ১৭৮/৭(১৬.৫ ওভার), টার্গেট ২২৪

11:19:00 PM

আইপিএল: ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি বাটলারের, রাজস্থান ১৩৬/৬ (১৪.৩ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:18:52 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হেটমায়ার, রাজস্থান ১২১/৬ (১২.২ ওভার), টার্গেট ২২৪ (বিপক্ষ কেকেআর)

11:04:22 PM