Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

সরাইখানার গপ্পো
অনিরুদ্ধ সরকার

 

শীত মানেই ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ। কলকাতা সেই কবে থেকে মেতে আছে এই হুজুগে। ১৮ শতকের শেষ থেকে ১৯ শতকের শুরুর দিকে এ শহরে একটা জোয়ার এসেছিল—ট্যাভার্ন বা সরাইখানা ও কফি হাউসের। কিন্তু তাতে ভাটা আসতেও দেরি হয়নি। কেমন ছিল সরাইখানার সেই দিনগুলি?

ইতিহাস-পর্ব
লন্ডনের শহুরে জীবনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল কফি হাউস ও ট্যাভার্ন। কলকাতার গায়েও লেগেছিল সেই ছোঁয়া। কারণ একটাই—লন্ডনের অভ্যাস বজায় রাখতে চাইত ইংরেজরা। সেই কারণেই প্লে হাউস থেকে প্লেসার হাউস—লন্ডনের আদলে কলকাতায় সবই গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তাঁরা। বিদেশিদের হাত ধরে পাঞ্চ-হাউস, ট্যাভার্ন ও কফি হাউস বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কলকাতায়। পাঞ্চ-হাউসে মিলত শুধুই পানীয়। কফি হাউসে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কফি, আর ট্যাভার্নে ছিল খাওয়াদাওয়া, সুরা পানের পাশাপাশি রাত্রিবাসেরও ব্যবস্থা। সঙ্গে সংবাদপত্র পাঠের বিশেষ সুযোগ। 
১৭৮০ সালের কথা। ট্যাভার্ন প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী লিখছেন, ‘আমাকে একদিন কলকাতার একটি ট্যাভার্নে নিয়ে যাওয়া হল। নাম লন্ডন হোটেল। একটি করে সোনার মোহর দিলে সেখানে প্রবেশাধিকার মিলত। সুরা পান ও ভোজনের দক্ষিণা ছিল আলাদা। কফি হাউসে এককাপ কফির দাম ছিল এক টাকা। অবশ্য তাতে ইংরেজি পত্রিকাগুলিও বিনা পয়সায় পড়া যেত।’ কলকাতার প্রথম যুগের ট্যাভার্নগুলি গড়ে উঠেছিল  ট্যাঙ্ক স্কোয়ার বা আজকের ডালহৌসি, লালবাজার বা এখনকার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট ও বউবাজার সংলগ্ন এলাকায়। এগুলিই ছিল তৎকালীন কলকাতার প্রাণকেন্দ্র।

ট্যাভার্ন ‘হারমনিক’
উইলিয়াম হিকি নিজের স্মৃতিকথাতেও উল্লেখ করেন কলকাতার সরাইখানাগুলির কথা। ক্যাপ্টেন উইলিয়াম পামারের আমন্ত্রণে তিনি গিয়েছিলেন অধুনা লালবাজার এলাকার ট্যাভার্ন ‘হারমনিক’-এ। সেটি ছিল ওই যুগে কলকাতার উচ্চসমাজের সেরা মজলিস কেন্দ্র। এর পাশেই একটি ট্যাভার্ন খোলেন এক ফরাসি ভদ্রলোক, ফ্রাঁসিস গ্যাল। ১৭৭৫ সালে প্রত্যেক শুক্রবার সেখানে বন্ধুবান্ধবদের মজলিস জমাতেন রিচার্ড বারওয়েল। মহারাজা নন্দকুমারের বিচারের সময় উকিলদের খাবার আসত ওই ট্যাভার্ন থেকে। শহরের বড় বড় ভোজসভাতেও খাদ্য সরবরাহ করতেন ফ্রাঁসিস।
ট্যাভার্ন ‘হারমনিক’-এর অন্যতম পেট্রন ছিলেন গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের স্ত্রী। প্রায় রোজ সেখানে চা-কফির মজলিস বসাতেন। তা নিয়ে ‘বেঙ্গল গেজেট’ পত্রিকায় নিয়মিত ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতেন হিকি সাহেব। তারপরেও দীর্ঘকাল জাঁকিয়ে বসেছিল ট্যাভার্ন ‘হারমনিক’। ১৭৮৫-র জানুয়ারিতে হেস্টিংসের বিদায় সংবর্ধনাও হয়েছিল সেখানে।

ফলতার ট্যাভার্ন
১৮ শতকে কলকাতার বাইরেও গড়ে উঠেছিল একের পর এক ট্যাভার্ন ও পাঞ্চ হাউস। মূলত ইউরোপীয়দের অন্যান্য বাণিজ্য এবং বসতিকে কেন্দ্র করে। কলকাতার ২৫ মাইল দক্ষিণে ফলতা তখন ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় ঘাঁটি ও বন্দর। নদীপথে কলকাতায় যাতায়াতের সময় সাহেবরা প্রায়ই থামতেন সেখানে। তাঁদের আপ্যায়নের জন্য গড়ে ওঠে ট্যাভার্ন। ১৮০৫ সালে এক ব্রিটিশ ভদ্রমহিলা ফলতার সরাইখানাটি দেখে খুশি হয়ে শংসাপত্রও দিয়ে এসেছিলেন।

শ্রীরামপুর ট্যাভার্ন
ফলতার মতোই শ্রীরামপুর, বারাকপুরেও এই সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়তে দেরি হয়নি। ইংরেজরা যখন কলকাতা দখলের ছক কষছে, শ্রীরামপুরে তখন ডাচদের রমরমা। ১৭৫৫ সালে নবাব আলিবর্দি খাঁর থেকে শ্রীরামপুরে কুঠি নির্মাণ ও বাণিজ্য করার ফরমান পান ড্যানিশ বা দিনেমার বণিকরা। দীর্ঘ ৯০ বছর শ্রীরামপুর ছিল তাদের উপনিবেশ। ডেনমার্কের সম্রাট ফ্রেডরিক পঞ্চমের নামে নতুন পরিচয় পায় শহরটি, ‘ফ্রেডরিক নগর’।
ড্যানিশদের হাত ধরে সেখানে গড়ে ওঠে গভর্নমেন্ট হাউজ, সেন্ট ওলাভ গির্জা সহ বিভিন্ন স্থাপত্য। ১৭৮৬ সালে, শ্রীরামপুরে ‘দ্য ডেনমার্ক ট্যাভার্ন অ্যান্ড হোটেল’ নামে একটি সরাইখানা খোলেন জেমস পার। সেটি ছিল তৎকালীন ফ্রেডরিক নগরের ফ্লাগস্টাফ ঘাটের তীরে, যা এখনকার ‘নিশান ঘাট’। ১৫ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে ওঠে ট্যাভার্নটি। ইতিহাস বলছে, জেমস পার ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। এককালে কলকাতায় ‘লন্ডন ট্যাভার্ন’ পরিচালনাও করেছিলেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতাই তাঁকে টেনে আনে শ্রীরামপুরে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ইউরোপীয়দের মধ্যে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠে ট্যাভার্নটি। ১৭৮৬ সালের ১৬ মার্চ ‘ক্যালকাটা গেজেট’-এ প্রকাশিত এক বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছিল—‘ট্যাভার্নের পার্শ্ববর্তী নদীপথ ব্যবহারকারী সজ্জন ব্যক্তিদের সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার এবং থাকার ব্যবস্থা আছে। সঙ্গে অত্যন্ত উপযুক্ত ও যুক্তিসঙ্গত অর্থের বিনিময়ে মিলবে পানীয়। সংবাদপত্র পাঠের সুব্যবস্থার পাশাপাশি কফি-রুমও আছে। কোন ইউরোপীয় সজ্জন ব্যক্তি, যিনি কলকাতার কোলাহল থেকে দূরে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে নিজের বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চাইছেন, তাঁদের জন্য এই ডেনমার্ক ট্যাভার্নটি ভালো আলোচনার জায়গা হতে পারে।’ একটি বিলিয়ার্ড টেবিল ও স্কিটেল খেলার মাঠেরও উল্লেখ করা হয়েছিল।
১৮৪৫ সালে শ্রীরামপুর থেকে বিদায় নেয় দিনেমাররা। ক্রমেই ব্রাত্য হতে থাকে গির্জা, গভর্নর হাউস, ট্যাভার্নের মতো জনপ্রিয় জায়গাগুলি। একে একে সেগুলি পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে।

জনমানসে প্রভাব
কলকাতা গবেষক বিনয় ঘোষ লিখছেন, ‘ইংল্যান্ডের সমাজে ট্যাভার্ন-কফি হাউসের যে প্রবল প্রভাব ছিল, তার এক শতাংশও প্রভাব ছিল না বাংলার সমাজে। তাই এখানে বিদেশি ব্যবসায়ীদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বাংলায় সম্ভ্রান্ত ইংরেজ এবং ইউরোপীয়রা তো বটেই, বিশিষ্ট বাঙালিরাও এগুলিকে আপন করে নিতে পারেননি। বেডফোর্ড, কোভেল্ট গার্ডেন বা জনসন ট্যাভার্নের মতন একটি কফি হাউস বা সরাইখানা কলকাতা-শহরতলিতে গড়ে উঠতে পারেনি। কোনও শ্রদ্ধেয় বাঙালি সমাজ নেতা কলকাতার ট্যাভার্নের মজলিসে যোগ দিয়েছেন বলে শোনা যায় না। রামমোহন রায় থেকে দেশের সাধারণ লোকের জীবনে ঘর এবং বৈঠকখানার প্রভাবই ছিল সর্বাধিক।’

বন্ধ সরাইখানা
উনিশ শতকের শুরু থেকে ধীরে ধীরে ট্যাভার্নের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে। কলকাতা গবেষকদের মতে, একটা সময়ের পর ইংরেজদেরও আর ট্যাভার্ন নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা ছিল না। তাই যে সরাইখানাগুলি নিয়ে তুমুল মাতামাতি হতো, সেগুলি ক্রমে বন্ধ হতে শুরু করে। একইভাবে ইংরেজদের উদাসীনতায় ডেনমার্ক ট্যাভার্ন কার্যত একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এর অস্তিত্বের কথা বেমালুম ভুলে যায় সাধারণ মানুষ।

ডেনমার্ক ট্যাভার্নের ‘পুনর্জীবন’
প্রায় দেড়শো বছর পরের কথা। শ্রীরামপুরের ট্যাভার্ন সম্পর্কে কিছু তথ্য খুঁজে পান ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ডেনমার্কের একটি দল। মেলে কিছু ছবিও। এর পরেই ভারত সরকারের সহায়তায় অতীত সন্ধানে নামেন ড্যানিশ আধিকারিকরা। একটি ধ্বংসস্তূপও খুঁজে পান। ২০১০ সালে ‘শ্রীরামপুর ইনিশিয়েটিভ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে ডেনমার্কের জাতীয় মিউজিয়াম। দায়িত্বে ড্যানিশ নৃবিজ্ঞানী বেন্তে ওল্ফ। ওই প্রকল্পের অধীনে ড্যানিশ ট্যাভার্নটির পাশাপাশি এলাকার বেশ কিছু ঐতিহাসিক কাঠামো পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন ‘হেরিটেজ বিল্ডিং’ তকমা দেয় ডেনমার্ক ট্যাভার্নকে। সেই বছরের অক্টোবরে শুরু হয় পুনর্নির্মাণের কাজ। নামানো হয় মুর্শিদাবাদ, সুন্দরবন ও শ্রীরামপুরের দক্ষ কারিগরদের। সিমেন্টের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় চুন-সুরকি। অতীতের আদলে সেগুন কাঠ দিয়ে বানানো হয় ট্যাভার্নের দরজা, জানালা এবং আসবাবপত্র। তিন বছর পর, ২০১৮ সালে উদ্বোধন হয় নবনির্মিত ডেনমার্ক ট্যাভার্নের।

বর্তমান চিত্র
উদ্বোধনের পর থেকেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ‘ডেনমার্ক ট্যাভার্ন’। রাজ্য সরকারের মালিকানাধীন এই ট্যাভার্ন পরিচালনার দায়িত্বে ‘দ্য পার্ক গ্রুপ’। চা, কফির সঙ্গে মেলে হরেক রকমের ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ-ডিনার। সোনালি অতীতের মতো এখনও মেলে রাত্রিবাসের সুযোগ। ঘর, ঐতিহাসিক সিঁড়ি, বিলিয়ার্ড বোর্ড—সর্বত্রই আভিজাত্যের ছাপ স্পষ্ট। হাজারো ইতিহাসের সাক্ষী এই সরাইখানার দেওয়ালজুড়ে রয়েছে অতীত আমলের নানান ছবি। 
এই ইতিহাসের শেষ নেই, আছে শুধু স্মরণ আর রোমন্থন!
07th  January, 2024
নানা রঙের দোল

বারসানায় এখন পা-টুকু নিশ্চিন্তে রাখার জো নেই! দেহাতি, দক্ষিণ ভারতীয়, বাঙালি, বিদেশি কে নেই সেই বিখ্যাত ভিড়ে। প্রায় সবার মাথায় রংবেরঙের পাগড়ি। কারও হাতে আবির, তো কারও ক্যামেরা। একসপ্তাহ ধরে চলছে রঙখেলা। হোলি... লাঠমার।
বিশদ

24th  March, 2024
 ‘যত মত তত পথ’
পূর্বা সেনগুপ্ত

দক্ষিণেশ্বরের দেবালয়। বিরাট বারান্দার এক কোণের ঘরে বসে ভক্তসঙ্গে ধর্মপ্রসঙ্গ করছেন শ্রীরামকৃষ্ণ। দেবালয়ের পাঁচ টাকা মাইনের পুরোহিত হলে কি হবে...মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা রাণী রাসমণি থেকে তাঁর জামাই মথুরবাবু, সকলেই তাঁকে সমীহ করে চলেন। বিশদ

17th  March, 2024
ওপেনহাইমার ও যুদ্ধবাণিজ্য

কয়েক ঘণ্টার মাত্র অপেক্ষা। লস এঞ্জেলসের আলো ঝলমলে ডলবি থিয়েটারে শুরু হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্মি শোবিজ—অস্কার। এবারের অস্কার হুজুগে সারা পৃথিবীর সংবাদ শিরোনামে ‘ওপেনহাইমার’। ক্রিস্টোফার নোলানের এই সিনেমার সঙ্গেই অতীতকে ফিরে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

10th  March, 2024
এলিট ইতিহাস
কলহার মুখোপাধ্যায়

সে নিজেই একটা ইতিহাস! তবু বেলা না যেতে খেলা তব গেল ঘুচে। তখন নাইট ক্লাব, হুক্কা বার, হ্যাং আউট, শপিং মলের কথা শোনালে মানুষ ভাবতো তামাশা করছে।
বিশদ

03rd  March, 2024
স্বেচ্ছামৃত্যু
 

গ্রিক ভাষায় ‘ইউ’ মানে ভালো আর ‘থ্যানেটোজ’ মানে মৃত্যু। দুইয়ে মিলে ইউথ্যানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু। গত বছর ভারতে আইনসিদ্ধ হয় প্যাসিভ ইউথ্যানেশিয়া। আইনত বৈধ হলেও, সেই পদক্ষেপকে ঘিরে দানা বাঁধছে সংশয়। স্বেচ্ছামৃত্যুর ইতিবৃত্ত খতিয়ে দেখলেন মৃন্ময় চন্দ
বিশদ

25th  February, 2024
আ’মরি বাংলা ভাষা

আসছে আরও একটা একুশে ফেব্রুয়ারি। হোয়াটসঅ্যাপ যুগে ক্রমে গুরুত্ব হারাচ্ছে দিনটি। তবুও বাংলা ভাষা বেঁচে আছে। থাকবেও। অসম ও বাংলাদেশ ঘুরে এসে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস। বিশদ

18th  February, 2024
সরস্বত্যৈ নমো নমঃ
কৌশিক মজুমদার

আমাদের নয়ের দশকের মফস্বলে উত্তেজনার খোরাক বলতে খুব বেশি কিছু ছিল না। বিশেষ করে আমরা যারা সেকালে ছাত্র ছিলাম, তাদের জন্য। মাস্টারমশাই আর অভিভাবকদের গণ ছাতাপেটাইয়ের ফাঁকে বুধবার সন্ধ্যায় টিভিতে চিত্রহার আর রবিবার সকালের রঙ্গোলিতে কিছু বস্তাপচা গান বাদে গোটা হপ্তাটাই কৃষিকথার আসর আর ‘খবর পড়ছি দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়’-এর মতো নেহাত নিরেস ছিল। বিশদ

11th  February, 2024
কুল খেতে মানা
সন্দীপন বিশ্বাস

স্কুল থেকে ফেরার পথে বিন্তির চোখে পড়ল, বাজারে বিক্রি হচ্ছে বড় বড় কুল। পাশে রয়েছে আপেল কুল, টোপা কুল। তাই দেখে তার জিভে জল এসে গেল। মনে হল, কেটে নুন দিয়ে মেখে খেলে বিকেলটা জমে যাবে। মায়ের কাছে সে আবদার করল, ‘আমায় একটু কুল কিনে দাও না মা!’  বিশদ

11th  February, 2024
নেতাজির বিমা কোম্পানি
সৌম্যব্রত দাশগুপ্ত

১৯৪১ সাল। শীতের সন্ধ্যা। ঢাকা শহরের নবাবপুর অঞ্চলে এক ব্যক্তি ঘুরছেন। রাত্রি নামার আগে তাঁকে গন্তব্য পৌঁছতেই হবে। কিন্তু রাস্তায় কারও কাছে ঠিকানা জানার হুকুম নেই। চারদিকে পুলিসের জাল বিছানো। নবাবপুর রোডের কাছে রায় কোম্পানির বিখ্যাত বিলাতি মদের দোকানের সামনে এসে চোখ পড়ল একটি বাড়ির দরজায়। বিশদ

04th  February, 2024
আইএনএ’র বিপ্লবী ডাক্তার
বিশ্বজিৎ মাইতি

‘অস্থায়ী হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শয়ে শয়ে মরণাপন্ন রোগী। চিকিৎসক ও নার্সদের দাঁড়ানোর ফুরসত নেই। আচমকাই সাইরেন বেজে উঠল। মুহূর্তের মধ্যে দৈত্যের মতো আওয়াজ তুলে হাজির যুদ্ধবিমান। প্রাণের ভয়ে পাশের পরিখায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন অনেকে। বিশদ

04th  February, 2024
বইমেলার কড়চা

 ‘পাঁচটা টাকা দেবেন?’ —‘মানে কী! বইমেলাতেও ভিক্ষা!’ —‘ভিক্ষা নয়, দাবি।’ কথা বলতে বলতেই হাতে ধরিয়ে দিলেন একটি চটি বই—‘রুখা কবির ভুখা পদ্য।’ শীর্ণকায়, অপুষ্টিধ্বস্ত কবিকে সামনে দাঁড় করিয়ে রেখেই চট করে পড়ে ফেললাম প্রথম দু’টি কবিতা।
বিশদ

28th  January, 2024
তীর্থের জন্ম
সমৃদ্ধ দত্ত

২৩ ডিসেম্বর, ১৯৪৯। অযোধ্যা। চারদিকে হইচই। কিছু মানুষ ছোটাছুটি করছে। প্রত্যেকেই দৌড়চ্ছে রাম জন্মভূমির দিকে। কী হ বিশদ

21st  January, 2024
নবজাগরণের নবদূত
পূর্বা সেনগুপ্ত

শেষ শয্যায় শায়িত তথাগত বুদ্ধ। চারিদিকে মলিন মুখে দাঁড়িয়ে আছেন অন্তরঙ্গ স্থবিরগণ। আকাশ-বাতাসে গুমোট ভাব। তথাগত যেখান থেকে এসেছিলেন, ফিরে যাচ্ছেন সেই লোকে। তাঁর বিরহ কেমন করে সহ্য করবেন, সেই চিন্তায় সর্বাধিক অন্তরঙ্গ শিষ্য আনন্দের চোখে জল। বিশদ

14th  January, 2024
জাদুঘরটা কোনদিকে?

ভদ্রলোক অনেকটা হেড অফিসের বড়বাবু গোছের। দুপুরে খোলেন দোকানখানি। দু’চার বার এক টুকরো কাপড় উড়িয়ে ঝাড়তে থাকেন মালপত্তর।
বিশদ

31st  December, 2023
একনজরে
বাল্টিমোর ব্রিজ দুর্ঘটনায় ভারতীয় নাবিকদের সাহসী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সময়ে উদ্ধারকাজ শেষ করায় স্থানীয় প্রশাসনেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার পণ্যবাহী ...

দোল উৎসবের রাতেও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত থাকল কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে। মঙ্গলবার রাতে শীতলকুচি ব্লকের গোঁসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গোঁসাইরহাট গ্রামের কটবাঁশ গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে ...

মালদ্বীপে মহম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। চীনপন্থী এই নেতাকে বিভিন্নভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে জিনপিং সরকার। সেই প্রতিশ্রুতির একটি পানীয় জল সরবরাহ। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে থাকা মালদ্বীপে ১ হাজার ৫০০ টন হিমবাহ নিঃসৃত জল ...

লোকসভা ভোটের আগে যেনতেন প্রকারে এলাকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করাই বিজেপির কৌশল। সেই লক্ষ্যে  ভূপতিনগর থানার ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচবজরী গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির লোকজনের বিরুদ্ধে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬৮: রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির জন্ম
১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম
১৯৩০: কনস্টান্টিনোপলের নাম ইস্তাম্বুল ও অ্যাঙ্গোরার নাম আঙ্কারা করা হয়
১৯৩০: বিশিষ্ট ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪১: কলকাতা থেকে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বার্লিন পৌঁছালেন
১৯৪২: রাসবিহারী বসু জাপানের টোকিওতে ভারত স্বাধীন করার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন
১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম
১৯৭৫: অভিনেতা অক্ষয় খান্নার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৬ টাকা ৮৩.৯৫ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯১ টাকা ১০৬.৫৪ টাকা
ইউরো ৮৯.০৮ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৬,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৭,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৩,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া ৩৩/২১ রাত্রি ৬/৫৭। স্বাতী নক্ষত্র ৩২/৩৪ রাত্রি ৬/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৪৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২ গতে ৩/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১০/২৮ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১১ মধ্যে। 
১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া অপরাহ্ন ৪/৩৬। স্বাতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৬ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৫ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/১২ মধ্যে। 
১৭ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: দিল্লিকে ১২ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:34 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট অভিষেক, দিল্লি ১২২/৫ (১৫.৩ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:13:01 PM

আইপিএল: ২৮ রানে আউট পন্থ, দিল্লি ১০৫/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:02:01 PM

আইপিএল: ৪৯ রানে আউট ওয়ার্নার, দিল্লি ৯৭/৩ (১১.২ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:49:56 PM

আইপিএল: দিল্লি ৭৩/২ (৮ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:36:51 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট রিকি, দিল্লি ৩০/২ (৩.৪ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:13:27 PM