বৃদ্ধ অজিত সামন্ত। বুকে ক্যানসার। ভর্তি রয়েছেন ক্যানসার হাসপাতালের ১৪ নম্বর কেবিনে। যৌবনেই স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন। দুই মাতৃহারা পুত্রকে বুক দিয়ে আগলে মানুষ করেছেন। পুত্ররা আজ বিদেশে সুপ্রতিষ্ঠিত। বাবার অসুস্থতার সংবাদ শুনে তারা ছুটে আসে বাবাকে আমেরিকা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য। আনন্দে আত্মহারা বৃদ্ধ। নিজের ছেলে-বউমা-নাতিদের মাঝে জীবনের শেষ ক’টা দিন কাটাবেন ভেবে। কিন্তু পুত্ররা জানায়, বাবার বসতবাড়িটা তাদের নামে লিখে দিতে হবে। ওই বাড়ি ভেঙে প্রমোটার সেখানে ফ্ল্যাট বানাবেন। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান অজিতবাবু। ওই বাড়িটা যে ওদের মা মীরা নিজের দাঁড়িয়ে থেকে মনের মতো করে তৈরি করিয়েছিলেন। ওই স্মূতি নিয়েই তো তিনি এতদিন ওখানে কাটিয়েছেন তিনি। এবার কী করবেন বৃদ্ধ? মেনে নেবেন অপদার্থ দুই পুত্রের প্রস্তাব, নাকি ঘৃণায়, যন্ত্রণায় ছেড়ে যেতে চাইবেন এই পৃথিবী?
এই গল্প হয়তো খুব সবার খুবই চেনা। কিন্তু এ গল্প নয়। এ এক নির্মম বাস্তব ঘটনা। যে ঘটনার সাক্ষী ছিলেন ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য নিজে। ক্যান্সার হাসপাতালে কাজ করাকালীন। তিনি নাটক সাজিয়েছেন ওই ঘটনার ওপর ভিত্তি করেই। তাঁরই নির্দেশনা। আগামী ২৭ ডিসেম্বর গিরিশ মঞ্চে সন্ধে সাড়ে ছ’টায় ‘বিষ’ নাটকটি মঞ্চস্থ হতে চলেছে। প্রযোজনায় বেলঘরিয়া থিয়েটার অ্যাকাডেমি। অভিনয়ে ধৃতিকণা ভট্টাচার্য, সুব্রত সরকার, সন্দীপ রায়, রিনা শীল, সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত, লক্ষ্মী চক্রবর্তী, স্বাতী ঘোষ প্রমুখ ও একটি চরিত্রে ডাঃ অমিতাভ ভট্টাচার্য স্বয়ং।
নিজস্ব প্রতিনিধি