গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ঠাকুর ও আমাকে অভেদভাবে দেখবে, আর যখন যেভাবে দর্শন পাবে, সেইভাবেই ধ্যানস্তুতি করবে—ধ্যান হ’য়ে গেলেই পূজা শেষ হ’ল। এইখানে (হৃদয়ে) আরম্ভ, ও এইখানে (মস্তকে) শেষ করবে। মন্ত্রতন্ত্র কিছু নয় মা, ভক্তিই সব। ঠাকুরের মাঝেই গুরু ইষ্ট সব পাবে। উনিই সব। বাবা, প্রথমে মনের কথা শুনবে। প্রথমে মনই গুরু। উচিত কথা গুরুকেও বলা যায়, তাতে পাপ হয় না। তবে গুরুভক্তি থাকা চাই। গুরু যেমনই হোক, তার প্রতি ভক্তিতেই মুক্তি। তোমরা কি মনে কর, যদি ঠাকুর এ শরীরটা না রাখেন, তা হলেও যাদের ভার নিয়েছি তাদের একজনও বাকী থাকতে আমার ছুটি আছে? তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। তাদের ভালমন্দের ভার যে নিতে হয়েছে। মন্ত্র দেওয়া কি চারটিখানি কথা। ঠাকুর নানাভাবে নানাজনকে খেলাচ্ছেন—টাল সামলাতে হয় আমাকে। আমাদের ভিতরেই সমুদয় জ্ঞান রহিয়াছে বটে, কিন্তু অপর এক জ্ঞানের দ্বারা উহাকে জাগরিত করিতে হইবে। জানিবার শক্তি আমাদের ভিতরেই আছে বটে, কিন্তু উহাকে জাগাইতে হইবে। …প্রাণহীন জড়ের প্রভাবে কখনও জ্ঞানের স্ফুরণ হইতে পারে না—কেবল জ্ঞানের শক্তিতেই জ্ঞানের বিকাশ হইয়া থাকে। আমাদের ভিতরে যে জ্ঞান আছে, তাহার উন্মেষের জন্য জ্ঞানী ব্যক্তিগণের নিকট সর্বদা আমাদের থাকা প্রয়োজন; সুতরাং গুরুগণের প্রয়োজন; সুতরাং গুরুগণের প্রয়োজন সর্বদাই ছিল। ...তাহাদের সহায়তা ব্যতীত কোন জ্ঞানই সম্ভব নয়।
গুরুপূজা সাধনার প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়াই বেদে উক্ত হইয়াছে; অধিকন্তু শুধু মানুষের মধ্য দিয়াই ভগবান্কে জানা সম্ভব। যেমন আলোক-স্পন্দন সর্বত্র—এমন-কি অন্ধকার কোণেও বিদ্যমান, কেবলমাত্র প্রদীপের মধ্যেই উহা লোকচক্ষুর গোচর হইয়া থাকে, সেইরূপ ভগবান্ যদিও সর্বত্র বিরাজিত, তথাপি তাঁহাকে আমরা কেবল এক বিরাট মানুষরূপেই কল্পনা করিতে পারি। করুণাময়, রক্ষক, সহায়ক প্রভৃতি ভগবৎ-সম্বন্ধীয় ভাবগুলি—মানবীর ভাব।