বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
পেমেন্টস ব্যাঙ্কের মূল শর্তই হল, তারা কোনও ঋণ দিতে পারবে না গ্রাহককে। কারেন্ট বা সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখা যাবে, এবং তা থেকে যাবতীয় পেমেন্ট করা যাবে। যেহেতু দেশে দেড় লাখের উপর পোস্ট অফিস আছে, তাই সেগুলির মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামে যাতে ব্যাঙ্কিং লেনদেন করা যায়, সেই লক্ষ্যেই খোলা হয় আইপিপিবি। গত বছর ৬৫০টি শাখা দিয়ে সর্বভারতীয়ভাবে ব্যাঙ্কের কাজ শুরু হলেও, এখন শাখা ও পরিষেবা কেন্দ্র মিলিয়ে সেই সংখ্যা ১.৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দপ্তরের কর্তার বলছেন, সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং। চলতি আর্থিক বছর থেকে লাফিয়ে বেড়েছে আইপিপিবি’র গ্রাহক সংখ্যা, দাবি এখানকার কর্তাদের। তাঁদের হিসেব, দেশে যেখানে এপ্রিলে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৯০ হাজার, সেখানে মে মাসে তা দাঁড়ায় ৩ লক্ষ ৭৪ হাজারে। জুন মাসের মাঝামাঝি সময়েই গ্রাহক সংখ্যা পৌঁছয় ৫ লক্ষ ৭২ হাজারে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও সাফল্যের ছবিটা একই। যেখানে গত এপ্রিলে এরাজ্যে আইপিপিবি’র গ্রাহক ছিল ১১ হাজার ২৩৩, সেখানে পরের মাসে, অর্থাৎ মে’তে তা হয় ১৮ হাজার ৮১২। জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত এরাজ্যে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের গ্রাহক সংখ্যা পৌঁছয় ৩০ হাজার ৫১২তে। ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্যের কথায়, এই ব্যাঙ্কের লেনদেন বৃদ্ধির সাম্প্রতিক প্রবণতা বুঝিয়ে দিচ্ছে, আমরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি।
দপ্তর সূত্রে খবর, ব্যবসার বহর বাড়াতে বিমার মতো পরিষেবার পাশাপাশি আরও বেশি পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক আইপিপিবি। ১০০ দিনের কাজের টাকা বা রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি যাতে এই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে গ্রাহক পেতে পারেন, তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পেনশন প্রাপকরাও যাতে বাড়ি বসে তা পেতে পারেন, তারও চেষ্টায় আছে তারা।