বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পর্যটন নিয়ে আশাবাদী রাজ্য সরকার। শুধু পর্যটক টানাই তার উদ্দেশ্য নয়। এই শিল্পের হাত ধরে কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ বাড়ানোও লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। তার জন্য ঢেলে সাজা হয়েছে পর্যটনকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো। বেড়াতে যাওয়ার জন্য রাজ্যের যে জায়গাগুলি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়, সেগুলি তো বটেই, পাশাপাশি নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলার বিষয়েও উদ্যোগ নিয়েছে পর্যটন দপ্তর। কিন্তু এত কাণ্ডের পরও সরকারি অতিথিশালাগুলি নিজেদের অপেশাদারি মনোভাব কাটাতে পারেনি দীর্ঘদিন। পর্যটকরা বেড়াতে এসে সরকারি আবাসে সুষ্ঠু পরিষেবা পেয়েছেন, এমন কথা মনে করতে পারেন না অনেকেরই। পেশাদারিত্বের চরম অবহেলা ক্রমশ ফিকে করে দিয়েছে রাজ্য সরকারের পর্যটন কেন্দ্রিক উদ্যোগগুলিকে। সেই কালো দাগ ওঠাতে উদ্যোগ নিয়েছিল পর্যটন নিগম। তারা জানিয়েছিল, সরকারি অতিথিশালাগুলির খোলনলচে বদলে দেওয়া হবে। সরকারি পর্যটন আবাসে তিনতারা হোটেলের মতো পরিষেবা পাবেন পর্যটকরা। তবে সেই কাজ সময় সাপেক্ষ। দপ্তর জানায়, এর জন্য বন্ধ রাখতে হবে বেশ কয়েকটি অতিথিশালা। বিগত কয়েক মাস ধরে খুব অল্প সংখ্যক সরকারি লজে বুকিং নেয় নিগম।
রাজ্য পর্যটন নিগম সূত্রে খবর, তাদের হাতে থাকা ৩০টি অতিথিশালার মধ্যে কয়েকটি বাদে বাকিগুলির বুকিং খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই তালিকায় আছে জলদাপাড়া, মালদহ, বহরমপুর, শান্তিনিকেতন, তারকেশ্বর, কালীঘাট, রাঙাবিতান, বকখালি, রূপনারায়ণ, ডায়মন্ডহারবার, সজনেখালি, ভোরের আলো, দার্জিলিং, হিল টপ, কার্শিয়াং, রায়গঞ্জ, টিলাবাড়ি, বাতাবাড়ি, মর্গান, ঝাড়গ্রাম এবং মাইথন। অনলাইন বুকিংয়ের জন্য খোলা আছে সল্টলেকের উদয়াচল ট্যুরিস্ট লজও। বুকিং এখনও সম্পূর্ণ বন্ধ মালবাজার, মুর্তি, দুর্গাপুর, বিষ্ণুপুর, দীঘা এবং মালঞ্চে। দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, যেগুলির বুকিং খুলে দেওয়া হল, সেখানে মার্চ এবং এপ্রিল মাসের জন্য কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু দু’-একটি ক্ষেত্রে মে মাসে বুকিং নেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় নিগম। আপাতত আগস্ট পর্যন্ত বুকিং নেওয়া হলেও, কয়েকটি ক্ষেত্রে আবার জুন-জুলাই বা আগস্ট মাসের বুকিং নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যেহেতু এই অতিথিশালাগুলির অধিকাংশ ঘর সংস্কারের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল, সেগুলি কি তিনতারা হোটেলের ধাঁচে পরিষেবা দিতে প্রস্তুত? দপ্তর সূত্রের খবর, সবক’টি এখনও সেই পরিষেবার জন্য তৈরি নয়। তার জন্য এখনও সময় লাগবে। কিন্তু যে সংস্কার হয়েছে, তাতে পর্যটকরা খুশি হবেন, দাবি করেছেন দপ্তরের কর্তারা।
সরকারি অতিথিশালাগুলির পরিকাঠামো বদলের পাশাপাশি অতিথিদের অভ্যর্থনাও যাতে উষ্ণ হয়, তার জন্য আগেই সচেষ্ট হয়েছিল নিগম। রান্নার গুণমান থেকে শুরু করে যে কোনও পরিষেবা যাতে আন্তরিক ও নিখুঁত হয়, তার জন্য কর্মীদের নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করে দপ্তর। পাঁচতারা হোটেলের পেশাদাররা তাঁদের সেই কাজে সাহায্য করেন। সেই সুফলও নতুন করে বুকিং শুরু হওয়া সরকারি অতিথিশালাগুলিতে মিলবে, দাবি রাজ্য পর্যটন দপ্তরের।