পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
তিনি বলেন, চলতি আর্থিক বছরে কলকাতা এবং হলদিয়া বন্দর মিলিয়ে মোট ৬২ থেকে ৬৩ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ হতে চলেছে। যেহেতু পণ্য পরিবহণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত রয়েছে, সেই মতো পরিকাঠামো গড়ার রোড ম্যাপ তৈরির বরাত ইতিমধ্যেই একটি পরামর্শদাতা সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। মাস্টার প্ল্যান তৈরি হচ্ছে। আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে পণ্য পরিবহণ বাড়িয়ে ৯০ মিলিয়ন টন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই পরিমাণ পণ্য পরিবহণ করতে কী ধরনের পরিকাঠামো বৃদ্ধি প্রয়োজন, তা নিয়ে ওই সংস্থা প্রস্তাব দেবে। সেই মতো কাজ করা হবে। গত আর্থিক বছরে এই দুই বন্দর মোট ৫৮ মিলিয়ন টন পণ্য বহন করেছে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, হলদিয়া বন্দর থেকে পণ্য পরিবহণ বৃদ্ধিতে মাল্টি মোডাল টার্মিনাল তৈরি করছে ‘ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়া’। তার জন্য ৬১ একর জমি লিজে দেওয়া হয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাসকিউল ব্রিজ সংস্কারের কাজও আগামী দিনে করা হবে। তার জন্য একটি পরামর্শদাতা সংস্থাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা ‘টেকনিক্যাল স্কিম’ তৈরি করবে। সেই মতোই ব্রিজে কাজ করানো হবে।
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট রাজ্য যৌথ উদ্যোগ থেকে বেরিয়ে এসে একাই তাজপুর সমুদ্র বন্দর গড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ উদ্যোগে এই বন্দরটি তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিন বছর কেটে যাওয়ার পরও কেন্দ্রের তরফে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ না হওয়াতে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তাজপুর বন্দর আমরা নিজেরাই করব। বিষয়টি নিয়ে এদিন চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।
অনুষ্ঠানে আসন্ন মেরিটাইম কনক্লেভ নিয়ে বিস্তারিত জানান জাহাজ মন্ত্রকের ডিরেক্টর (বন্দর) অরবিন্দ চৌধুরী। দেশের বাইরে এই প্রথম ইরানের চাবাহার বন্দর থেকে পণ্য পরিবহণ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।