পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
ছোট শিল্পকে জমি দেওয়া এবং তাদের পরিকাঠামো গড়ে দেওয়ার কাজটি করে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। সাধারণত রাজ্যের হাতে থাকা শিল্পতালুক বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটগুলি থেকেই জমি দেওয়া হয়। জমিগুলিকে শিল্পের উপযুক্ত করে তোলা, সেখানে রাস্তা নির্মাণ বা জল ও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে ওই সরকারি সংস্থা। প্রয়োজনে মাথার উপর শেডও গড়ে দেয় তারা। এই সংস্থার রেকর্ড বলছে, দীর্ঘ প্রায় দু’বছর যাবৎ রাজ্যের কোনও সরকারি শিল্পতালুকেই ঠাঁই হয়নি কোনও সংস্থার। আইনি জটিলতা অথবা অন্য কোনও প্রাশাসনিক গেরোয় থমকে গিয়েছে জমি লিজ দেওয়ার কাজ। অবশেষে সেই সমস্যা মিটেছে, জানিয়েছেন নিগম বা কর্পোরেশনের কর্তারা।
নিগমের হাতে গোটা রাজ্যে মোট ৫২টি এস্টেট আছে। এগুলির মধ্যে থেকেই ওই ৪২টি সংস্থাকে জমি দেওয়া হচ্ছে। কল্যাণীতে ৩টি, আমবাড়ি ফালাকাটায় ৭টি, রেজিনগরে ১টি, বাউরিয়ায় ৫টি, বোলপুরে ৬টি, অশোকনগরে ২টি, বালটিকুরিতে ১টি, বহরমপুরে ২টি, দুর্গাপুরে ৪টি, ট্যাংরায় ১টি, খড়গপুরে ২টি, ইলুবাড়িতে ১টি, সন্তোষপুরে ৩টি, শিলিগুড়িতে ১টি, বারুইপুরে ১টি শক্তিগড়ে ২টি সংস্থাকে জমি দেওয়া হচ্ছে। সবক’টি সংস্থাকে জমি লিজ দিয়ে নিগমের আয় হবে ১৭ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা। নিগম কর্তাদের দাবি, জমির দাম এমনই রাখা হয়েছে, যা কোনওভাবেই শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে মূলধনে টান পড়তে দেবে না। ৩০ বছরের লিজে কাঠা পিছু ৩০ হাজার টাকা থেকে জমির দাম শুরু হয়েছে।
কেন রাজ্যের নিজস্ব শিল্পতালুকে এতদিন বন্ধ ছিল জমি দেওয়ার কাজ? ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন শিল্পসংস্থাকে এর আগে আমাদের জমি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, হয় তাতে শিল্প গড়া হয়নি, অথবা যে উদ্দেশ্যে জমি নেওয়া হয়েছে, সেই কাজে তা ব্যবহার করা হয়নি। এতে আইনি সাহায্য নিতে গিয়ে জটিলতা আরও বেড়েছে। আমরা তাই আগেভাগে দেখে নিতে চেয়েছি আবেদনকারী সংস্থাগুলির আর্থিক অবস্থা। তাদের শিল্প গড়ার ইচ্ছা আদৌ আছে কি না, তাও যাচাই করা হয়েছে। স্বজনপোষণের অভিযোগ এড়াতে ছোট শিল্পের জন্যও নিয়োগ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা। ভবিষ্যতেও তাই-ই করা হবে, জানিয়েছেন বিপ্লববাবু।