সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
কলিঙ্গ যুদ্ধে হেরে বেশ চাপে ছিল মোহন বাগান। যুবভারতীতে না জিতলে বিদায়। আশা-আশঙ্কার দোলাচলে সমর্থকরা। তার উপর প্রতিপক্ষ কোচ সের্গিও লোবেরাও ধূর্ত স্ট্র্যাটেজিস্ট। হাবাস বুনো ওল হলে উনিও বাঘা তেঁতুল। বাস্তবে লোবেরাকে টেক্কা দিলেন সবুজ-মেরুন সারথি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে ক্লান্ত লিস্টনকে তুলে মনবীরকে লেফট উইং হাফ করাই মাস্টার স্ট্রোক। প্রবল গরমে তখন দু’পক্ষই বেশ কাহিল। ওভারল্যাপে এসে কোমরে হাত পড়ছে বিপক্ষের রাইট উইং ব্যাক অময় রানওয়াডের। অভিজ্ঞ হাবাস তাই মনবীরের গতিকে কাজে লাগান। কথাতেই আছে, স্যাকরার ঠুকঠাক, কামারের এক ঘা। সংযোজিত সময়ে সাহালের গোলের আসল কারিগর মনবীর। প্রায় ১৫ গজের ওই স্প্রিন্ট ভোলার নয়। গতির বিস্ফোরণে রানওয়াডেকে টপকে মাইনাস রাখে পাঞ্জাবি ফুটবলার। বল জালে থেকে বের করা ছাড়া উপায় ছিল না গোলরক্ষক অমরিন্দার সিংয়ের। অহেতুক উত্তেজনা তৈরি করে নিজের ভুল ঢাকার বৃথা চেষ্টা করল ও। প্রথম গোলের ক্ষেত্রেও দায়ী অমরিন্দার। পেত্রাতোসের শট চাপড়ে ফেলল সামনে! এর পরেও হাসতে হাসতে জাতীয় দলের স্কেয়াডে ডাক পায় ও। ব্রাত্য থাকে বিশাল কাইথ। সত্য সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ।
প্রথম লেগে আহমেদ জাহু আর রয় কৃষ্ণা ব্যবধান গড়ে দিয়েছিল। মরক্কান ফুটবলার যুবভারতীতে ডাহা ফেল। চাপ নিতে ব্যর্থ। তবে রয় বারবার বিপজ্জনক হয়ে উঠল। জিতলেও মোহন বাগান রক্ষণের ত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল ফিজির তারকা। লেফট উইং ব্যাক পজিশন নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। হাবাস ব্রিগেডের দুর্বলতম জায়গা। বিপক্ষে দ্রুতগতির উইঙ্গার থাকলে বিপদ বাড়বে। আমার বিশ্বাস, হাবাস দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোল করবেন।
৪ মে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেগা ফাইনাল। পাড়ায় পাড়ায় ঢাউস পতাকা নিয়ে তৈরি হচ্ছেন হাজার হাজার সবুজ-মেরুন সমর্থক। ম্যাচটা মাঠে বসে দেখতে চাই। ৯০ মিনিটের লড়াই আনোয়াররা লড়ুক। বাকিটা গ্যালারির দর্শকরা ঠিক বুঝে নেবেন।