কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
অবশ্য গুজরাতের অবস্থাও সুবিধাজনক নয়। সাত ম্যাচে তাদের পকেটে ৬ পয়েন্ট। তার চেয়েও বড় কথা, শুভমান গিলরা শেষ ম্যাচে কুৎসিতভাবে হেরেছেন দিল্লির কাছে। মাত্র ৮৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তাদের ইনিংস। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠাই টাইটান্সদের কঠিন চ্যালেঞ্জ। ব্যাটিংয়ের দুর্বলতা প্রবল চিন্তায় রাখছে তাদের। গিল ও সাই সুদর্শনই গুজরাতের প্রধান ভরসা। ডেভিড মিলার, ঋদ্ধিমান সাহা, বিজয় শঙ্কররা সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি এখনও। বোলিংয়ে আবার অনুভূত হচ্ছে মহম্মদ সামির অভাব। উমেশ সাত উইকেট নিলেও রানের গতিতে রাশ টানতে তিনি ব্যর্থ। দলের সফলতম বোলার অবশ্য মোহিত শর্মা। তিনি নিয়েছেন আট উইকেট। তবে ইকনমি রেটের বিচারে রশিদ খানই বাকিদের থেকে অনেক এগিয়ে। সঙ্গে সাতটা উইকেট যেমন আছে, তেমনই ব্যাট হাতেও কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছেন তিনি।
ব্যাটিং উদ্বেগে রাখছে পাঞ্জাবকেও। টপ অর্ডার বড় রানের ভিত গড়তে পারছে না। বারবার পরিবর্তনের ফলে স্থায়ী কম্বিনেশনও গড়ে উঠছে না ওপেনিংয়ে। বৃহস্পতিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে যেমন স্যাম কারান ওপেন করেছিলেন প্রভসিমরন সিংয়ের সঙ্গে। কেউই সফল হননি। তাঁরা ছাড়াও ব্যর্থ হন তিন ও চারে নামা রাইলি রোসোউ ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ১৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে একসময় ধুঁকছিল পাঞ্জাব। খাদের কিনারা থেকে শশাঙ্ক সিং ও আশুতোষ শর্মা মেরামত করেন ইনিংস। শেষ পর্যন্ত জয় না এলেও দু’জনের প্রশংসায় উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট মহল। তবে পাঞ্জাবের সমস্যা হল রানের মধ্যে নেই সহ-অধিনায়ক জিতেশ শর্মা। তুলনায় বোলিং বিভাগ শক্তপোক্ত। কারান ছাড়াও অর্শদীপ সিং, কাগিসো রাবাডা, হার্শল প্যাটেলরা রয়েছেন পেস বিভাগে। স্পিনারের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে লিভিংস্টোন ও হরপ্রীত ব্রারকে।
দুই দলই জানে ফের পরাজয় মানে কার্যত প্লে-অফের লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়া। তাই জয়ের সরণিতে ফেরার জন্য বাড়তি তাগিদ সঙ্গী উভয় শিবিরেই।