কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কোটলায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে ইনিংস শুরু করেছিল সানরাইজার্স। ১৬ বলে পঞ্চাশের পর একশো এসেছিল মাত্র ৩০ বলে। আইপিএলেই শুধু নয়, টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসেই যা দ্রুততম। পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারের শেষে সেটাই দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ১২৫। এটাও রেকর্ড। এই পর্বে কখনও এত রান দেখেনি কুড়ি ওভারের ফরম্যাট। সেই সময় মনে হচ্ছিল, আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে তিনশোর গণ্ডি টপকে যাবে কমলা জার্সিধারীরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা হয়নি। ট্রাভিস হেড ও অভিষেক আউট হতে রানের গতি কমে যায়। উল্লেখ্য, বাঁ হাতি অজি ওপেনারের ৩২ বলে ৮৯ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ১১টি চার ও ৬টি ছক্কায়। এছাড়া ১২ বলে ৪৬ রানের পথে তরুণ অভিষেক মারেন ২টি চার ও ৬টি ছক্কা। পাশাপাশি প্রশংসা করতে হবে শাহবাজ আহমেদ ও নীতীশ কুমার রেড্ডির। পঞ্চম উইকেটে দু’জনে ৪৭ বলে যোগ করেন ৬৭। কুলদীপের চতুর্থ শিকার নীতীশ (২৭ বলে ৩৭) হলেও শাহবাজকে আটকানো যায়নি। আইপিএলে জীবনের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁ হাতি অলরাউন্ডার। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল পাঁচটি ছক্কা ও দুটো চারে।
চলতি আইপিএলে এই নিয়ে তৃতীয়বার আড়াইশোর বেশি রান তুলল নিজামের শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ২৮৭-৩ ও ২৭৭-৩ তুলেছিল প্যাট কামিন্স বাহিনী। এদিনের ২৬৬ আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বাধিক রান। তিন নম্বরে রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২৭২-৭, বিশাখাপত্তনমে যা এসেছিল দিল্লির বিরুদ্ধেই। উল্লেখ্য, ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ ক্রিকেটে তিনবার আড়াইশোর বেশি রানের কৃতিত্ব সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ছাড়া রয়েছে শুধু ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সারের।
রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির শুরুটা ভালো হয়নি। মাত্র ২৫ রানেই দুই উইকেট খোয়ায় তারা। চূড়ান্ত ব্যর্থ ডেভিড ওয়ার্নার (১)। অপর ওপেনার পৃথ্বীর ব্যাট থেকেও ১৬ রানের বেশি আসেনি। তবে প্রাথমিক এই ধাক্কা সামলে নেন জেক ফ্রেজার ও অভিষেক পোড়েল। তিনে নামা ফ্রেজার ৫টি চার ও ৭টি ছয় সহ ১৮ বলে ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন। বাংলার অভিষেক পোড়েলের সংগ্রহ ২২ বলে ৪২ রান। তবে এই দু’জন আউট হতেই চাপে পড়ে যায় রাজধানীর দলটি। বড় রান পাননি স্টাবস (১০), ললিত (৭), অক্ষররা (৬)। শেষ দিকে ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ (৩৫ বলে ৪৪ রান) মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও দলের হার এড়াতে ব্যর্থ। হায়দরাবাদের সফলতম বোলার টি নটরাজন (৪-১৯)। ১৯তম ওভারেই মেডেন সহ তিনটি উইকেট নিয়েছেন তিনি।