কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর রিয়াল মাদ্রিদ একে অপরের পরিপূরক। বুধবার রাতে এই কথাটা ফের একবার প্রমাণ করলেন ভিনিসিয়াস-রডরিগোরা। এক বছর আগে এতিহাদ স্টেডিয়ামেই ৪ গোলে লজ্জাজনক ভাবে হেরে টুর্নামেন্টে থেকে বিদায় নিয়েছিল আনসেলোত্তি-ব্রিগেড। চলতি মরশুমেও ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন সিটিজেনরা। তবে এই রিয়াল হারের আগে হারতে শেখেনি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তা তারা ভালোই জানে। সুযোগ পেলেই প্রতি-আক্রমণ শানিয়ে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ভুল করেননি ভিনিসিয়াসরা। ১২ মিনিটে এমনই এক সুযোগ কাজে লাগিয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন রডরিগো (১-০)। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে শুরু হয় ম্যান সিটির একতরফা আক্রমণ। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেন গ্রিলিস-ফোডেনরা। তবে কখনও পোস্ট তো কখনও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক লুনিন তাঁদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও রিয়ালের রক্ষণ ছিল জমাট ও সুসংগঠিত। কিন্তু ৭৬ মিনিটে রুডিগারের মুহূর্তের ভুল কাজে লাগিয়ে সিটিকে সমতায় ফেরান ডি ব্রুইন (১-১)। অতিরিক্ত সময়েও ম্যান সিটির আক্রমণ রুখতেই ব্যস্ত ছিল রিয়াল ডিফেন্স। প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে মোট ৩৩টি শট নেয় সিটিজেনরা। তবে কিছুতেই দ্বিতীয় গোলের দেখা মেলেনি। পেনাল্টি শুট-আউটেও শুরুটা দারুণ করে সিটি। লুকা মডরিচের প্রথম শটটাই রুখে দেন এডেরসন। সেখান থেকে নাটকীয় মোড়। পর পর বের্নার্ডো সিলভা এবং মাতেও কোভাসিচের শট বাঁচিয়ে রিয়ালকে অ্যাডভান্টেজ এনে দেন লুনিন। শেষ পর্যন্ত তা ধরে রেখে ৪-৩ ব্যবধানে শেষ হাসি হাসে আনসেলোত্তি-ব্রিগেড।
শেষ চারের লড়াইয়ে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ। জয়ের পর কোচ আনসেলোত্তি বলেন, ‘সবাই ভেবেছিল আমাদের দৌড় শেষ। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ কখনও হাল ছাড়ে না। এর আগেও একাধিকবার এমন জায়গা থেকে আমরা জিতে মাঠ ছেড়েছি। আসলে এই দলের ডিএনএ-তে লড়াই রয়েছে। এর পুরো কৃতিত্ব ফুটবলারদের। তবে এখনও কাজ শেষ হয়নি।’
(ডি ব্রুইন) (রডরিগো)
(টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জয়ী রিয়াল)