সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
গ্যালারিজুড়ে বেগুনি জার্সির ঘনঘটা। গালে কেকেআর লেখাটা আরও গাঢ়। চড়া রোদে দগ্ধ হয়েও শুকিয়ে যায়নি কণ্ঠস্বর। মিচেল স্টার্ক একটা করে উইকেট নিয়েছেন, তার সঙ্গে চড়েছে স্লোগানের ভলিউম— ‘করব লড়ব জিতব রে...।’ ক্লাব হাউসের লোয়ার টিয়ারে বসা তরুণের হাতের ব্যানারে উঁকি দিচ্ছিল, ‘লেজেন্ড স্টার্ক ব্যাক ইন ফর্ম, নাইটস এগেইন ইন দ্য থর্ন!’ চেন্নাইয়ের কাছে হারের ধাক্কা সামলে শ্রেয়স আয়ারদের সাফল্যের সরণিতে ফেরার দিনে প্রায় ২৫ কোটি দরের অজি তারকার দুরন্ত ছন্দ স্বস্তি দিয়েছে ভক্তদেরও। সন্ধ্যার মুখে কেকেআর যত জয়ের দিকে এগিয়েছে, ততই ঝলমলে হয়ে উঠেছে গ্যালারি। সল্ট-শ্রেয়সদের চার-ছক্কার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জ্বলে উঠেছে হাজারো মোবাইলের ‘সাঁঝবাতি’।
ইডেনের ভরা গ্যালারিতে নাইটদের পালের হাওয়া কাড়তে চেষ্টায় ত্রুটি রাখেনি লখনউ সুপার জায়ান্টস। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের সংযোগের কথা মাথায় রেখে রবিবার মোহন বাগান সুপার জায়ান্টের সবুজ-মেরুন জার্সি পরে মাঠে নেমেছিলেন লোকেশ রাহুলরা। কিন্তু তাতে ভোলেননি রিঙ্কু-রাসেল ভক্তরা। লোকেশদের পারফরম্যান্সেও তেমন কোনও দীপ্তি প্রতিফলিত হয়নি, যাতে অ্যাওয়ে ম্যাচে গ্যালারির মন জেতা যায়। বরং গড়পড়তা ক্রিকেটের ফাঁকে ফাঁকে ব্যাকুল জনতার চোখ খুঁজে বেড়িয়েছে একজনকে— শাহরুখ। নিজের দলকে উদ্দীপ্ত করতে এদিনও ইডেনের ভিআইপি বক্সে হাজির ছিলেন কিং খান। খেলার শেষে সটান নেমে এলেন মাঠে। কখনও দর্শকদের দিকে হাত নেড়ে, কখনও নাচের ভঙ্গিতে কোমর দুলিয়ে, আবার কখনও গ্রাউন্ডসম্যানদের সঙ্গে ছবি তুলে টি-২০ নামক বিনোদনী বেওসার হালখাতা সেরে ফেললেন কেকেআরের কর্ণধার।
ইডেনের গর্জন ভেদ করে কোথাও কোন দূর থেকে তখন ভেসে আসছে বর্ষবরণের চিরন্তন রিংটোন— এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।