হায়দরাবাদ: টানা ছয় ম্যাচে পরাজয়ের পর এসেছে জয়। বৃহস্পতিবার উপ্পলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুই পয়েন্ট কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু শিবিরে। তবে তার মধ্যেও বিরাট কোহলির স্ট্রাইক রেট নিয়ে চলছে চর্চা। ৪৩ বলে ৫১ করেছেন তিনি। কিংবদন্তি ওপেনার সুনীল গাভাসকর বলেছেন, ‘ইনিংসের মাঝখানে মনে হল বিরাট ছন্দ হারিয়েছে। শেষের দিকে ও কোনও বাউন্ডারি মারেনি। ইনিংসের প্রথম বল থেকে ১৪-১৫ ওভার পর্যন্ত বাইশ গজে কাটিয়েও ১১৮.৬০ স্ট্রাইক রেট মানা যায় না।’ একই সুরে প্রাক্তন অজি ওপেনার সাইমন কাটিচ বলেছেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই যে, কোহলি ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিল। ওর উচিত ছিল রজত পাতিদারের মতো চার-ছয় মারার চেষ্টা করা। কোহলির স্ট্রাইক রেট ১২০-র নীচে হওয়ার জন্যই ২২০ প্লাস স্কোর তুলতে পারেনি আরসিবি।’ তবে ভিন্নমত পোষণ করছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যারন ফিনচ। তিনি বলেছেন, ‘মাথায় রাখতে হবে যে, সেই সময় পাতিদার অন্যপ্রান্তে ঝড় তুলেছিল। ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া বিরাট তাই একটা দিক ধরে রাখার চেষ্টা করছিল। সিঙ্গলস নিয়ে পাতিদারকে স্ট্রাইক দিতে চাইছিল। সেজন্যই বাউন্ডারি মারার চেষ্টা করেনি।’
৯ ম্যাচে আরসিবি’র ঝুলিতে এখন চার পয়েন্ট। বাকি সব ম্যাচে জিতলে ফাফ ডু’প্লেসিদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৪। তাতে প্লে-অফের দরজা খোলার সম্ভাবনা কার্যত নেই। বেঙ্গালুরুর পরের খেলা রবিবার গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে। কোহলিরা শুক্রবারই পৌঁছে গিয়েছেন আমেদাবাদে।