বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
তবে তার আগে জিদানের দেওয়া সব শর্ত তাঁকে মেনে নিতে হয়েছে। কী সেই শর্তাবলী? ১) আগামী মরশুমের ফুটবলার চয়নে জিদানকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। ২) ফুটবল সংক্রান্ত ব্যাপারে কোচের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ৩) জিজুর দেওয়া তালিকা অনুযায়ী আগামী মরশুমে নতুন ফুটবলার চয়ন করতে হবে। বলা বাহুল্য, সব শর্তই একবাক্যে মেনে নিয়েছেন পেরেজ। এর অন্যতম কারণ, এই দুঃসময়ে তাঁর সামনে আর কোনও বিকল্প পথ ছিল না। তাই সোমবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলনে পেরেজকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বিশ্বের সেরা কোচকে আমরা আবার ফিরিয়ে এনেছি। আশা করি, এবার আমাদের সুদিন আবার ফিরবে।’ ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জিদান। এর আগে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তিনি কোচের পূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে রিয়ালকে তিনটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব, একটি লা লিগা ও দু’টি করে সুপারকোপা ও ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ জিতিয়েছিলেন। গত মে’তে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করার পর আগে পরে প্রস্থান ঘটেছিল জিজু ও রোনাল্ডোর। বলা বাহুল্য, সিআরসেভেনের অভাব পূরণ না হওয়াতেই এবার মরশুমের শুরু থেকে মুখ থুবড়ে পড়েছিল রিয়াল। তবে রোনাল্ডোর সমমানের ফুটবলার পাওয়া কার্যত অসম্ভব। তাই জিজুর চোখ আপাতত ইডেন হ্যাজার্ডের মতো ফুটবলারের উপর। জিজুর কোচিংয়ে খেলতে চেয়েছিলেন হ্যাজার্ড। তাঁর সেই ইচ্ছা এবার পূরণ হতে পারে। একইসঙ্গে গ্যারেথ বেলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না জিদানের। জিজু কি পারবেন বেলের কাঁধে হাত রেখে ফের উজ্জীবিত করে তাঁকে ফর্মে ফিরিয়ে আনতে? এমনিতে গ্যারেথ বেলকে ৭৫ মিলিয়ন ইউরো গুণে এখন কেউ কিনতে চাইছে না। সেইসঙ্গে ১২ মিলিয়ন ইউরো পারিশ্রমিক দিতে হয় তাঁকে। টটেনহ্যাম হটস্পারের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি লোনে তাঁকে আনতে রাজি। তবে অনেক কম অর্থে। এছাড়া জিজুর সামনে আরেক চ্যালেঞ্জ হল ইসকোকে দ্রুত ফর্মে ফেরানো। সেইসঙ্গে লুকাস ভাসকুয়েজ, মার্কো আসেন্সিওদের উদ্বুদ্ধ করা। আগামী মরশুমে টনি ক্রুজ, মার্সেলোদের ছেড়ে দিতে পারে রিয়াল। এদের বিকল্প খুঁজতে হবে জিদানকে। গত ১৪ বছর রিয়ালে খেলা সের্গিও র্যামোসের সঙ্গে ক্লাবমালিক পেরেজের কয়েকদিন আগে ড্রেসিং-রুমে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। কিন্তু এখনও সের্গিও র্যামোস রিয়ালের অবিসংবাদিত নেতা। জিজুর উপর তাঁরও পূর্ণ আস্থা রয়েছে। করিম বেনজেমা ছাড়া রিয়ালের অন্য কোনও স্ট্রাইকার এবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল করতে পারেননি। তবে বেনজেমা নাকি সান্তিয়াগো সোলারিকে এখনই ছাঁটাই করার বিরুদ্ধে ছিলেন। মোটামুটি লা লিগায় প্রথম চারের মধ্যে থাকা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে রিয়াল। তাদের হাতে অন্য কোনও বড় টুর্নামেন্ট নেই। তাই লা লিগায় বাকি ম্যাচগুলির মধ্যে জিজু ঝালিয়ে নিতে পারবেন কাদের তিনি রাখবেন এবং কাদের তিনি ছাঁটাই করবেন।