ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিজয়পুরের ভিটেমাটি ছেড়ে অনেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এই গ্রামের একপাশে প্রায় দুই কিমি সীমান্তে কাঁটাতার নেই। ওপার থেকে সহজে এপারে চলে আসা যায়। মাস তিনেকের মধ্যে বিজয়পুর থেকে ১০ কেজির বেশি সোনার বিস্কুট, সোনার ইট বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। এছাড়া, কুখ্যাত সমাজবিরোধীরা বাংলায় অপরাধ করে সহজেই এখান দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিজয়পুরের সীমান্ত সমস্যা বিএসএফকে নিয়মিত ভুগিয়ে আসছে। সমস্যা সমাধানে সীমান্তে জমি কেনার প্রক্রিয়াও শুরু হয়। তবে বিভিন্ন সময় জমিজটে সেই প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হয়।
কৃষ্ণগঞ্জের বিজয়পুর ও গেদে মৌজায় কাঁটাতারের জন্য ২৩.০৪ একর জমির প্রয়োজন। তা কেনার জন্য ১৩ কোটি ২০ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে ১১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা ৬৮ হাজার টাকা খরচ করে ২১.৯৫৬ একর জমি কেনা হয়েছে। জমিজটের কারণে বাকি জমি কেনা যায়নি। এর মধ্যে বিএসএফকে হস্তান্তর করা হয়েছে ১৬.৯৬ একর। তবে এখনও কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়নি।
এনিয়ে জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য তথা কর্মাধ্যক্ষ কার্তিক মণ্ডল বলেন, সাধারণ মানুষ বিএসএফের কাছে অপমানিত হয়। কয়েকটা পাচারকারী যদি থাকে, তার জন্য পুরো এলাকার মানুষ অপমানিত হবে কেন? সেজন্য অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
এবিষয়ে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার বিজেপির কনভেনর প্রণব সরকার বলেন, মানুষের সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের এখানকার প্রার্থী আবেদন করেছেন। সেইমতো জমির টাকা মানুষ পেয়ে গেলে খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।
তৃণমূলের প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, এই সমস্যার জন্য দায়ী বিজেপি। ভারতের নাগরিক হয়েও এই এলাকার মানুষকে বিএসএফের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকার এই সমস্যার কথা কোনও দিন পার্লামেন্টে তোলেননি। মানুষ আমাকে জেতালে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে পুরো গ্রামকে সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা করব।