ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, ২০২১সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম দাসকে ১৭হাজার ৯৬৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিধায়ক হন বিজেপির শান্তনু প্রামাণিক। খেজুরি-১ ব্লকের ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দু’টি রয়েছে বিজেপির দখলে। তবে বাকিগুলি তৃণমূলের দখলে। খেজুরি-২ ব্লকের পাঁচটি পঞ্চায়েতের তিনটি বিজেপির দখলে। বাকিগুলি তৃণমূলের দখলে। খেজুরি-১ পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে রয়েছে। খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি তৃণমূলের। তবে স্থায়ী সমিতি রয়েছে বিজেপির দখলে। বোর্ড গঠনের আগে বিজেপির এক মণ্ডল সভাপতি ও দলের পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যা তৃণমূলে যোগ দেন। খেজুরি-১ ব্লকে জেলা পরিষদের দু’টি আসনের একটিতে জয়ী হয়ে সভাধিপতি হন উত্তম বারিক। আরেকটি আসনে বিজেপি থেকে বুলুরানি করণ জয়ী হলেও পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। খেজুরি-২ ব্লকে একটি আসনে তৃণমূল প্রার্থী রামকৃষ্ণ দাস জিতেছেন। আর একটি আসনে বিজেপি থেকে জয়ী হয়েছেন সুব্রত পাইক। ভগবানপুর-২ ব্লকের গড়বাড়ি-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতও খেজুরি বিধানসভার অধীনে। ওই দু’টি পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে।
২০১৯সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই খেজুরিতে বিজেপির পালে হাওয়া ঘুরতে শুরু করে। দীর্ঘদিন সিপিএমের গড় থাকলেও ২০১১সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর খেজুরিতে একচেটিয়াভাবে সবুজ রাজত্ব শুরু হয়। পরবর্তীকালে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনে ঢেলে ভোট পায় বিজেপি। ভোট কমে তৃণমূলের। খেজুরিতে মাত্র পাঁচ হাজারের কিছু বেশি লিড পায় তৃণমূল। তারপর বিধানসভা থেকে পঞ্চায়েত ভোট-গত কয়েক বছরে খেজুরিতে বিজেপি সংগঠন এবং প্রভাব বাড়িয়েছে।
খেজুরি-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরূপকুমার দাস ও খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সমুদ্ভব দাস বলেন, খেজুরির মানুষ তৃণমূল সরকারের আমলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী থেকে সব সুবিধা তো পাচ্ছেনই। ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে শতাধিক রাস্তা হয়েছে। বোগা থেকে নন্দীগ্রাম সীমান্তে ভাঙাবেড়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণ হয়েছে। হেঁড়িয়া-বোগা সড়ক সম্প্রসারণ হয়েছে। ‘জলস্বপ্ন’ কর্মসূচিতে এলাকায় অনেকগুলি পানীয় জল প্রকল্প গড়ে উঠছে। বহু প্রতীক্ষিত রসুলপুর নদীর উপর ব্রিজ তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ভাঙাবেড়ায় নতুন ব্রিজ হয়েছে। বোগা ও নিজকসবা ফেরিঘাটে ভেসেল পরিষেবা ও পল্টুন জেটি তৈরি হয়েছে। পাঁচুড়িয়া এলাকায় সমুদ্রপাড় বাঁধানোর কাজ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলিতে পথবাতি ও হাইমাস্ট আলো লাগানো হয়েছে। তাঁরা বলেন, শুধু মুখে বুলি আওড়ানো ছাড়া বিধায়ক কোনও কাজ করেননি। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিতে কোনও উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না। তৃণমূল ক্ষমতায় থাকাকালীন যে কাজগুলি হয়েছিল সেগুলিই তারা করেছে বলে প্রচার করছে। এগুলিই আমরা প্রচারে তুলে ধরছি।
বিজেপি বিধায়ক বলেন, কী কাজ হয়েছে সেটা খেজুরির মানুষ জানে। বিধায়ক কোটা থেকে অনেক কাজ হয়েছে। তৃণমূলের অত্যাচার আর অপশাসনে খেজুরির মানুষ বিরক্ত। মানুষ বিজেপিকে আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরছে। তাই খেজুরিতে বিজেপির ভোট বেড়েছে। তৃণমূল শুধু ফাঁকা আওয়াজ করে ভোট চাইছে।