বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
কান্দির ওই হোমে বর্তমানে প্রায় ৪০ জন পুরুষ ও মহিলা আবাসিক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জনের ভোটাধিকার রয়েছে। তাঁরা প্রার্থীদের দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। আবাসিক সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে দু’ বার ভোট দিয়েছি। খুব ভালো লেগেছে। আবার দেব কেমন। কিন্তু কেউ ভোট নিতে এল না এখনও। সেটাই ভাবছি কী করা যায়। আর এক আবাসিক সুস্মিতা বিশ্বাস বলেন, আমাদের লাইন করে ভোট দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই স্কুলে। অনেক পুলিস আছে ওখানে। ভোট দিতে গেলে ওরা খুব ভালোবাসে। এবারও ভোট দেব। কিন্তু কেউ নিয়ে যায় না।
হোমের চিকিৎসক বাসুদেব মান্না বলেন, ভোট দিতে অত্যন্ত আগ্রহী ওঁরা। তাই দেখা হলেই ভোট দেওয়ার জন্য জেদ ধরেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ভোটের ব্যাপারে ভালোমন্দ ওঁরা কিছুই বোঝেন না। ওঁরা লাভ লোকসানের হিসেব করার বুদ্ধি হারিয়েছেন। কিন্তু সবাই ভোট দিচ্ছে আমিও দিচ্ছি, এটাই ওঁদের আনন্দ। তিনি আরও বলেন, এখন যাঁদের ভোটাধিকার রয়েছে তাঁরা জেদ করছেন প্রার্থীকে নিয়ে আসতে হবে। প্রার্থীর সঙ্গে সময় কাটাতে চান এঁরা। কিন্তু সেই দাবি মানা আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থীকে আমন্ত্রণ জানাতে পারি না।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ওই হোমের আবাসিকদের দাবি মেনে আমরা অবশ্যই সেখানে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে যাব। কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক নরোত্তম সিংহ জানান, দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি আবাসিকদের সাক্ষাৎ করানো হবে।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুখেন বাগদি বলেন, এটা আমাদের কাছে আনন্দের বিষয় যে হোমের আবাসিকরা আমাদের প্রার্থীকে দেখতে চাইছেন। বিষয়টি জেলা কমিটিতে জানান হবে।