বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বুধবার সন্ধ্যায় এক বেলা জল সরবরাহ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুরুলিয়া পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরসভার তরফে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাঁসাই নদীর গর্ভে জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পুরসভার তেলিডি, শিমুলিয়া এবং ডাবর বলরামপুর এলাকায় যে পাম্প হাউস রয়েছে, সেখান থেকে জল সরবরাহের পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে। তাই পুরুলিয়া শহরে শুধুমাত্র সকাল বেলা একবারই বাড়িতে এবং রাস্তার ট্যাপে জল সরবরাহ করা হবে।
এই সময় অবৈধভাবে পাম্প লাগিয়ে কেউ যাতে জল সংগ্রহ না করে, সেই বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে পুরসভা। পুরসভার কাছে অভিযোগ এসেছে, পাম্প চালিয়ে বাড়ির পাইপ লাইন থেকে অনেকেই অবৈধভাবে জল টেনে নিচ্ছে। এটা আইনত অপরাধ বলে জানিয়েছে পুরসভা। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মীরা এবিষয়ে অভিযান শুরু করেছেন। অবৈধভাবে জল টেনে নেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে পাম্পটি বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই সঙ্গে ওই হোল্ডিং নম্বরে যে পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে, তা স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হবে। শুধু তাই নয়, সদর থানায় এবিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ করার পর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও বিষয়টি জানানো হবে। সেই সঙ্গে বাড়িতে যাদের পানীয় জলে সংযোগ রয়েছে, তাদের রাস্তার ট্যাপ থেকে জল না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুরসভা। কোথাও জলের অপচয় দেখলেই পুরসভার নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে তৎক্ষণাৎ তা জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজেপির পুরুলিয়া শহর মণ্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারী বলেন, পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান নিজেকে বারবার শহরের ভূমিপুত্র বলে দাবি করেন। অথচ পুরুলিয়া শহর যে খরা প্রবণ তা কি তিনি জানেন না? জল সংরক্ষণের এবং নতুন জলের উৎসের কোনও সন্ধান না করে বাড়ি বাড়ি শুধুমাত্র পাইপলাইন বসিয়ে দিচ্ছেন। শুধুমাত্র ভাঁওতা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। জল সংযোগের জন্য যে টাকা পুরসভায় নেওয়া হচ্ছে, তারও কোনও সঠিক হিসেব নেই।
পুরুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান নব্যেন্দু মাহালি বলেন, পরিকল্পনা না করে পাইপলাইন দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। সবকিছু পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে। তাছাড়া বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের সংযোগ না দিলে উৎসের সন্ধান পাওয়া গেলে জল দেওয়া যাবে কী করে? পুরুলিয়ায় গ্রীষ্মকালে জলের সমস্যার কথা নতুন নয়। এটা সবারই জানা রয়েছে। বিজেপি অযথা রাজনীতি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে।