কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
প্রসঙ্গত গত লোকসভা ভোটে এই শহর থেকে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে লিড পান। গত বিধানসভা ভোটেও বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় জয়ী হন। এখান থেকে দলকে বের করে আনাই বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। অভিযোগ, তবুও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাটিয়ে এখনও এক হয়ে এই নির্বাচনে প্রচারে নামতে পারেনি তৃণমূল। মিশ্র ভাষাভাষির রেল শহরে এখনও সেভাবে প্রচারই শুরু করতে পারেনি শাসক দল। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন কমিটি গড়ে দেওয়া হলেও বিরোধ পিছু ছাড়ছে না তাদের। এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতৃত্বও আর শহরের নেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। বৈঠকে দলের সেনাপতি জানিয়ে দেন, নির্বাচনে ফল খারাপ হলে পদ চলে যেতে পারে। সেই হুঁশিয়ারিতেই কাজ হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শাস্তির ভয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন নেতারা। এদিন নির্বাচন কমিটি প্রথমে আটটি রেল ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করে। ওয়ার্ডগুলি হল ১৩, ১৫, ১৮, ২০, ২১, ২২, ২৬ ও ২৭ নম্বর। কমিটির চেয়ারম্যান তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন কল্যাণী ঘোষ বলেন, বৈঠকে ঠিক হয় রেল এলাকা সহ ছোট বড় মিলিয়ে শহরের প্রায় ৬২টি বস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে ৩০ এপ্রিল দলীয় কনভেনশন করা হবে।
এরপরই ছাত্র, যুব, মহলিা ও আইএনটিটিইউসির নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচন কমিটি। সেখানে শাখা সংগঠনগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিটির সদস্য তথা তৃণমূলের জেলা কমিটির সহ সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী বলেন, শাখা সংগঠনগুলিকে সামনের সারিতে রেখে নির্বাচনের কাজে পুরোপুরি যুক্ত করা হবে। শাখা সংগঠনগুলি পৃথক পৃথকভাবে টিম তৈরি করে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাবে। এছাড়াও যত নির্বাচনী কর্মসূচি হবে, সবগুলিতেই তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে যুক্ত করা হবে। এদিন থেকেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মী বৈঠক করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান জানান, প্রতিদিন পাঁচটি করে ওয়ার্ড নিয়ে কর্মিসভা হবে।