কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, বহরমপুর শহরে প্রচারে বেরিয়ে শনিবার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ। গো-ব্যাক স্লোগান তুলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মীরা। যা শুনে মেজাজ হারান বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। অধীরবাবু গাড়ি থেকে নেমে এক তৃণমূল কর্মীর দিকে মারমুখী হয়ে এগিয়ে যান। তাঁকে সজোরে ধাক্কা দেন বলেও অভিযোগ। তৃণমূল কর্মীকে হেনস্তার অভিযোগে প্রার্থীর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করে কংগ্রেস। একদিন যেতে না যেতেই অন্য এলাকায় ফের গো-ব্যাক শুনলেন অধীরবাবু। এই ঘটনায় রীতিমতো রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
তবে এদিন অধীরবাবু বিক্ষোভকারীদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ‘যব হাতি চলে বাজার, তব কুত্তা ভোকে হাজার’। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ যদি গো-ব্যাক, গো-ব্যাক করে, তাহলে আমি কী করতে পারি? এর আগেও এই অসভ্যতামি তৃণমূল করেছে। এবারও তাই করেছে।
তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা অশোক দাস বলেন, অধীর চৌধুরীকে মানুষ বিসর্জন দিয়েছে। ভোটের আগে এই ধরনের গো-ব্যাক স্লোগান ও বিক্ষোভ তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। পায়ের তলার মাটি তো আগেই সরেছে ওঁর। এখন তাঁর সংসদ এলাকার মানুষই মুখ দেখতে চাইছেন না। ওঁর গাড়ি দেখলেই গো-ব্যাক বলে স্লোগান তুলছে। এই নির্বাচনে মানুষ তাঁকে পাকাপাকিভাবে বিসর্জন দেবেন। ইউসুফ পাঠানের ব্যাপক জয় হবে এবার।
বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, এক সময় নিজের গড় বলতেন মুর্শিদাবাদকে। এখন বাড়ির বাইরে বেরলেই তাঁকে ঘিরে মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁর অবস্থা হয়েছে দু’হাজার টাকার নোটের মতো। নোটগুলি দেখতে বড়, কিন্তু অচল। কংগ্রেসকে বহরমপুরের মানুষ কেউ চাইছে না। মোদিজির প্রার্থী নির্মল সাহা এখানে জিতবেন। প্রচারে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তাই জয়ের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।