সংবাদদাতা, কাঁথি: জৌলুস না থাকলেও প্রথা মেনে ভগবানপুর-২ ব্লকের মুগবেড়িয়ার নন্দ পরিবারের ১৭৩ বছরের প্রাচীন বাসন্তী পুজো হচ্ছে। এই পুজো নিয়ে নানা জনশ্রুতি রয়েছে। নন্দ পরিবারের পূর্বপুরুষ ভোলানাথ নন্দ পুজোর সূচনা করেছিলেন। তখনকার দিনে মুগবেড়িয়া এলাকা জঙ্গলময় ছিল। ভোলানাথ ছিলেন ভালো শিকারী। একদিন শিকার করার সময় জঙ্গলে বরাহর আক্রমণে গুরুতর জখম হয়ে জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরলে ভোলানাথ দেখেন, বনাঞ্চল আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে। স্বপ্নে বাসন্তী দুর্গাপুজো করার আদেশ পান ভোলানাথ। তখন থেকেই বাড়ির সামনে নাটমন্দির গড়ে বাসন্তীপুজো শুরু করেন। মুগবেড়িয়া ও আশপাশের এলাকা জনবসতিতে রূপান্তরিত করার পিছনে ভোলানাথের বিরাট অবদান ছিল।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫০-৬০ বছর আগে জমিদারি আমলে বাসন্তী পুজোয় একাধিক মোষ ও অজস্র ছাগবলি হতো। বসত নহবত। নানা অনুষ্ঠান হতো। এখন শুধু নবমীর নিশিতে দু’টি ছাগবলি হয়। নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয় চারটি দিন। বাসন্তী দুর্গার সঙ্গে মা শীতলাও পুজিতা হন। পরিবারের বংশধররা এখন পুজো করছেন।
নন্দ পরিবারের বর্তমান সদস্য চৈতন্যময় নন্দ ও কিরণময় নন্দ বলেন, পুজোর ক’টা দিন এলাকার বাসিন্দাদের বসিয়ে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পরিবারের লোকজন যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁরা এসে পুজোর ক’টা দিন আনন্দে শামিল হন। বাসন্তী উৎসব কমিটির কর্মকর্তা তারাশঙ্কর নন্দ, সৌরপ্রতিম নন্দ বলেন, চারটি দিন যেন মিলনমেলা হয়।-নিজস্ব চিত্র