বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গোবিন্দপুরে একটি চায়ের দোকানে সাত-আটজন বসে তাস খেলছিলেন। সেই সময় ৮-১০ জন দুষ্কৃতী মুখে কালো কাপড় বেঁধে এসে জালালউদ্দিনকে মারধর শুরু করে। পরে তাঁর বুকে গুলি করে। তখনই এক দুষ্কৃতীকে জিয়ারুল নামে আরএক যুবক জাপটে ধরেন। আরও কয়েকজন ছুটে এসে দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। ওই দুষ্কৃতী জিয়ারুলের মাথায় পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করতে থাকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ জালালউদ্দিনের দিদি পঞ্চায়েত সদস্যা। পারভিনা বিবি নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যা সিপিএমের প্রতীকে জিতে তৃণমূলে যোগ দেন। দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই এই ঘটনা বলে অনেকেই মনে করছেন। জালালউদ্দিন তৃণমূলের ছত্রছায়ায় রয়েছেন। গ্রামেই তাঁদের আরও একটি বিরোধী গোষ্ঠী রয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই রেষারেষি চলছিল। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়েই গণ্ডোগোল।
বহরমপুর পশ্চিম ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আলাউদ্দিন শেখ বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। ওদের নিজেদের কোনও দ্বন্দ্বের জন্য এই ঘটনা হতে পারে। রাঙামাটি চাঁদপাড়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সজল নন্দী বলেন, কী কারণে এই ঘটনা হয়েছে জানি না। তবে ওদের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল চলছিল বলে শুনেছি।
জখম জিয়ারুল শেখ বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও আমরা চায়ের দোকানে বসেছিলাম। সেই সময় হঠাৎ করেই দেখি কয়েকজন মুখে কালো কাপড় বেঁধে হাঁটতে হাঁটতে আসছে। তারা এসেই জালালউদ্দিনকে মারধর শুরু করে। একজন তাঁর বুকে গুলি করে। আমি তাঁকে বাঁচানোর জন্য এক দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরি। তখনই ও আমার মাথায় পিস্তলের বাঁট দিয়ে আঘাত করে। এলাকার অন্যান্য লোকজন এসে ওই দুষ্কৃতীকে ধরে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কয়েকদিন আগেই নওদায় এক তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে বহরমপুরে এক প্রতিবন্ধী চা দোকানদারকে গুলি করে মারা হয়েছে। এছাড়া কান্দিতেও এক তৃণমূল নেতাকে চলতি মাসেই গুলি করা হয়েছে। জেলার বাসিন্দাদের দাবি, মুর্শিদাবাদে বেআইনি অস্ত্রের ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে। সাধারণ দুষ্কৃতীদের কাছেও নাইনএমএম, সেভেন এমএম জাতীয় পিস্তল পৌঁছে গিয়েছে। সেকারণেই শ্যুট আউটের ঘটনা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার জেরে গোবিন্দপুরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পুলিস ওই ঘটনায় জখম এক দুষ্কৃতী ছাড়া কাউকেই এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিস সুপার মুকেশ কুমার এনিয়ে কিছু বলতে চাননি।