আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টায় তমলুকের সিএডিসি(কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন)অফিসে ফিশ ভেন্ডিং মেশিনের উদ্বোধন করা হয়। ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী, সিএডিসির জেলা প্রকল্প আধিকারিক উত্তমকুমার লাহা ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যারা উপস্থিত ছিলেন। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টোটোয় জ্যান্ত রুই, কাতলা, কই ও সরপুঁটি মাছ বিক্রি করতে বের হন স্বসহায়ক দলের কর্মীরা। সিএডিসি অফিস থেকে মানিকতলা মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা আসার পথেই সব মাছ বিক্রি হয়ে যায়। ফলে এদিন শহরের মধ্যে মাছের গাড়ি আর ঢুকতে পারেনি। এদিন ৫০০গ্রাম ওজনের রুই ও কাতলা ১০০টাকা কেজি দরে, ১৫০ ২০০গ্রাম ওজনের সরপুঁটি ২০০টাকা কেজি দরে ও ১৫০ থেকে ২০০গ্রামের ভিয়েত কই ২৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়। এক ঘণ্টার মধ্যে ৫০কেজির বেশি মাছ বিক্রি হওয়ায় প্রশাসনিক কর্তাদের মতো জনপ্রতিনিধিরাও বেজায় খুশি। আগামীদিনে একইভাবে কই, ট্যাংরা, পুঁটি, শিঙি, মাগুর, রুই, কাতলা, মৃগেল সহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিজলের মাছ বিক্রি করা হবে। সপ্তাহে দু’দিন মিষ্টিজলের জ্যান্ত মাছ বিক্রির পর বাকি দিনগুলিতে সামুদ্রিক মাছ বিক্রি করা হবে। দীঘা মোহনার পাইকারি মাছ আড়ত থেকে সরাসরি সামুদ্রিক মাছ এনে ওই মাছ সংরক্ষণ করা হবে। এরপর সতেজ মাছ স্বল্প দামে শহরবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
উত্তমবাবু বলেন, প্রথম দিন মানুষের মাছ কেনার আগ্রহ দেখে আমরা অভিভূত। আগামীদিনে শহরের মধ্যেই মাছ বিক্রি করা হবে। শুধু তমলুক নয়, বিভিন্ন শহরেও আগামী দিনে মাছ বিক্রির ব্যবস্থা দ্রুত চালু করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। আমাদের চাষ করা মাছের পাশাপাশি যেসব চাষি আমাদের কাছ থেকে মাছের চারা নিয়ে গিয়ে চাষ করেন তাঁদের মাছও আগামীদিনে আমরা কিনে নিয়ে বাজারে বিক্রি করব। শহরবাসীর কাছে কমদামে উৎকৃষ্ট মানের মাছ পৌঁছে দেওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।