আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
নদীয়া জেলাতে কাটমানি ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছে বিরোধীরা। কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট পুরসভায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। এদিন নবদ্বীপ পুরসভার সামনে এদিন তারা অবস্থান বিক্ষোভ করে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভ চলকালীন বক্তব্য রাখেন বিজেপির নদীয়া (উত্তর) জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার। দুপুরে সাতজনের একটি প্রতিনিধি দল পুরসভার চেয়ারম্যানের চেম্বারে গিয়ে একটি স্মারকলিপি দেয়। সেই সময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বিজেপির প্রতিনিধি দলের। পরে অবশ্য দু’পক্ষই সৌজন্য বিনিময় করে।
নবদ্বীপ শহর উত্তর যুব মোর্চার সভাপতি তন্ময় কুণ্ডু বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছি, আবাস যোজনা ও শৌচাগার প্রকল্পে উপভোক্তাদের কাছ থেকে যে কাটমানি নেওয়া হয়েছে। সেগুলি অবিলম্বে ফেরত দিতে হবে। নবদ্বীপ বাসস্ট্যান্ডে ফ্ল্যাটবাড়ি না করে মানুষের কল্যাণে ওই জমি ব্যবহার করতে হবে। ওই জমি বেসরকারি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মোট ১৪ দফা দাবি পেশ করেছি।
নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে ডেপুটেশন দেওয়ার। কাটমানি নিয়ে সঠিক এবং তথ্য প্রমাণ সহ অভিযোগ করতে হবে। হাওয়ায় ভাসানো কথা শুনে অভিযোগ করলে হবে না।
এদিকে, কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের তৃণমূলে পরিচালিত রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও এদিন কাটমানি ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। দলের জেলা পরিষদ ২৩ নম্বর আসন সভাপতি প্রহ্লাদ সাহা বলেন, শৌচাগার প্রকল্পে উপভোক্তাদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজও শৌচালয় হয়নি। ওই টাকা ফেরত দিতে হবে। ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ হচ্ছে না। মহিলাদের এই প্রকল্পে কাজ দিতে হবে। এসব দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অসিত বিশ্বাস বলেন, এই পঞ্চায়েত বোর্ডে শৌচাগার প্রকল্পের কাজ হয়নি। টাকা দিয়েও উপভোক্তারা শৌচাগার না পেলে, তা ফেরত দেওয়া হবে। ১০০ দিনের প্রকল্পে মহিলাদের আরও বেশি বেশি কাজ দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, এদিন কাটমানি ফেরতের দাবিতে তৃণমূল নেতাদের নামে শান্তিপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে পোস্টার পড়ে। এলাকার বিভিন্ন রাস্তার ধারের দেওয়ালে ও লাইট পোস্টে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। তাতে লেখা, ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি: এতদ্বারা ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সকল জনগণকে যাইতেছি যে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার যে প্রকল্প কার্যকারী আছে, তাতে ভীষণ রকম দুর্নীতি চলছে। আমরা সবাই এই যোজনা সম্বন্ধে অবগত যে এর জন্য কোন ঘুষ লাগে না, ইতিমধ্যে যারা এই যোজনা পেয়েছে বা যারা পাবে বলে তাদের নামে টাকা জমা দেওয়া হইয়াছে এখন কিছু লোক বলছে’। এরপর কয়েকজনের নাম ও টাকার পরিমাণ লেখা রয়েছে। নীচে লেখা, ‘এই টাকা নেওয়ার মূলে তৃণমূল নেতারা। মোট ১১ জনের নাম রয়েছে। এদিকে, এই ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গেলে আক্রান্ত হন সংবাদ মাধ্যমের এক কর্মী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে এই পোস্টারগুলি কেউ বা কারা ওই এলাকায় লাগিয়ে দিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রথম পোস্টারগুলি নজরে আসে।
পোস্টারে নাম থাকা এক তৃণমূল নেতা বলেন, আমি কারও টাকা খাইনি। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। এই বক্তব্য দেওয়ার পরেই বাড়ির ভেতর থেকে ওই নেতার ছেলে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিনিধিকে হেনস্তা করেন বলে অভিযোগ।