বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত সপ্তাহে তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়া জেলা সফরে এসে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন। এই জেলায় বিজেপিকে দমন করতে সাংগঠনিক পদে রদবদল করেছেন তিনি। বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে এই জেলার পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংগঠনিক ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। আগে পার্থবাবু এই জেলার একমাত্র পর্যবেক্ষক ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, নদীয়ার সংগঠন দেখবেন অনুব্রত ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন পার্থবাবু।
সাংগঠনিক দায়িত্বভার পেয়ে কাজও শুরু করে দিয়েছেন অনুব্রতবাবু। গত ১৪ জানুয়ারি বেতাইয়ে তেহট্ট মহকুমা এলাকার ৯০০ জন বুথ সভাপতিকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ‘হেড মাস্টার’-এর স্টাইলে প্রতি বুথ সভাপতির কাছে সাংগঠনিক খোঁজ খবর নেন। দলীয় সমস্যার কথাও শোনেন। নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা যাতে দলীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করেন, সেব্যাপারেও স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। কোনওরকম দ্বন্দ্ব তিনি বরদাস্ত করবেন না বলেও কড়া হুঁশিয়ারি দেন।
গত মঙ্গলবার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ ও অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র ও কৃষ্ণনগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহা। এছাড়াও দেবগ্রামের বিবেকানন্দ হাই স্কুলে হওয়া ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস, কালীগঞ্জের বর্তমান বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ, প্রাক্তন বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এছাড়া ২৫৫জন বুথ সভাপতি ও ১৩টি অঞ্চলের সভাপতিরাও বৈঠকে হাজির ছিলেন। তৃণমূলের কালীগঞ্জ ব্লক সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, বুথ সভাপতিদের কাছে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। এই বিধানসভা এলাকায় ৬০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে যাতে পুরো সংখ্যালঘু ভোট আমাদের দলীয় প্রতীকে আসে, তা নিশ্চিত করতে বুথ সভাপতিদের ঝাঁপিয়ে পড়তে বলা হয়েছে।
গত বুধবার নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার বুথ ও অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে বেথুয়াডহরিতে বৈঠক করেন মহুয়াদেবী ও অসীমবাবু। উপস্থিত ছিলেন নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই বিধানসভা এলাকার মধ্যে কালীগঞ্জ ব্লকের পালিতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় দ্বন্দ্বে এখনও প্রধান নির্বাচন করা যায়নি। বিষয়টি ওই বৈঠকে ওঠে। এই দ্বন্দ্ব দ্রুত মেটানোর নির্দেশ দেন জেলা নেতারা। নাকাশিপাড়ার বিধায়ক বলেন, পালিতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে দ্রুত প্রধান নির্বাচন করা হবে। সবার সম্মতিক্রমে প্রধান নির্বাচন হবে। কোনও দ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না।
আগামী ২৪জানুয়ারি কৃষ্ণনগরে দলীয় বৈঠক করবেন অনুব্রত মণ্ডল। কৃষ্ণনগর মহকুমা এলাকার সব বুথ, অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদেরও হাজির থাকতে বলা হয়েছে। জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, বুথ ও অঞ্চল সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক চলছে। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি।