ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কৃষি বিজ্ঞানী জোত্যির্ময় কারফারমা বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত নেই। ফলে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে পাটের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও সব্জির ক্ষতি হচ্ছে। ফলে সেচের কাজে বেশি করে জল প্রয়োজন হচ্ছে। এই জলের জন্য খরচ বাড়ছে। এতে ফসলের দাম আগামীতে বাড়তে পারে।
এবিষয়ে বালুরঘাটের মাঝিয়ান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, এপ্রিলে ৫০-৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু এবছর বৃষ্টিপাত হয়নি। ১০০ শতাংশ বৃষ্টিপাত কম রয়েছে। পাশাপাশি টানা তাপমাত্রা বৃদ্ধি কখনও থাকে না। এবছর টানা সাত দিন ধরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে।
বালুরঘাটের ফুলঘড়ার এক কৃষক পিন্টু সরকার বলেন, বৃষ্টিপাত সেভাবে হচ্ছে না। যার ফলে ডিজেল চালিত পাম্প ব্যবহার করতে হচ্ছে। এছাড়াও মার্শালের মাধ্যমে জলসেচ দিতে হচ্ছে। এর জেরে বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি।
প্রসঙ্গত, এপ্রিলের শুরুতেই তীব্র গরম থাকে। এবছর সেই গরমের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। প্রত্যেকদিন গড়ে ৪০ ডিগ্রি করে তাপমাত্রা থাকছে। সেই সঙ্গে থাকছে সূর্যের প্রখর রোদ। ফলে কৃষি ফসলে জল বেশি লাগছে। এদিকে বৃষ্টি নেই। তাই সেচের জন্য একমাত্র ভরসা প্রযুক্তি। তাই প্রচুর চাষি ডিজেল চালিত পাম্পের উপরই ভরসা করছেন। কিন্তু যেভাবে ডিজেলের দাম বাড়ছে তাতে পাম্পের মাধ্যমে জলসেচ করতে গিয়ে আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন চাষিরা। এখন ধানের ক্ষেত্রে তেমন জল না লাগলেও পাটের ক্ষেত্রে জলের প্রয়োজন। তাই সেই জলটুকুও পাওয়া যাচ্ছে না। পাটের পাশাপাশি এখন কৃষিজমিতে রয়েছে পটল, ঝিঙ্গা, বেগুন, ভেন্ডি, টম্যাটো, মুলা, শসা সহ নানা সব্জি। সেই সব্জি জলের অভাবে নষ্ট হচ্ছে। এদিকে শসার দাম ইতিমধ্যেই বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বৃষ্টির অভাবে ভূগর্ভস্থ জলস্তর অনেকটাই নীচে চলে গিয়েছে। তপন ব্লকে মার্শাল চালিয়েও জল উঠছে না। এছাড়া জেলার অন্যান্য ব্লকেও চাষের জন্য জলসেচে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই কৃষি বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, যেভাবে টানা বৃষ্টিহীন জেলায় তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতির সম্ভাবনাও বাড়ছে। সেই সঙ্গে ফসলের দামও আগামীতে বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।