সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
মমতা বলেন, আমি ভুল স্বীকার করেছি এই কারণে যে, বিধানসভা নির্বাচনে আপনারা আব্দুল গনি সাহেবকে জিতিয়ে ছিলেন। আমরা তাঁকে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানও করেছি মালদহকে মর্যাদা দিয়ে। কিন্তু তিনি এলাকায় আসতে সময় পান না। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, এই জায়গাটা আমি নিজে দেখব। সুজাপুরকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। আমার কাছে সুজাপুর, কালিয়াচক নতুন জায়গা নয়, এটি আমার প্রিয় পুরনো জায়গা। আমি কথা দিচ্ছি, এই সব জায়গায় আগামী দিনে যাতে আপনাদের সমস্যা না হয়, সেজন্য আমি দায়িত্ব নিয়ে দেখে নেব। আমাকে রিপোর্ট করবেন। আমি সবটা দেখব।
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, মালদহ জেলায় আমরা কোনও দিনও লোকসভা আসন পায়নি। মালদহ, মুর্শিদাবাদে আপনারা বিধানসভায় ঢেলে ভোট দিয়েছিলেন। তাই বিজেপিকে রুখে দিয়েছিলাম। বিজেপি বাংলায় আসতে পারেনি। আপনারাই পারেন বিজেপি রথকে রুখে দিতে। দলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রের প্রশংসা করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিয়াচকের সভা থেকে বলেন, বাংলা কারও কাছে আত্মসর্মপণ করে না। বাংলা নিজের দাবি ছিনিয়ে আনবে। যখন বরকতদা ছিলেন, তাঁকে আপনারা ভোট দিতেন। আমরাও তাঁকে সম্মান করতাম। তাঁদের পরিবারের সদস্য মৌসুম নুর। আমি তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দিয়েছি। আর কী করতে হবে বলুন?
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যে বন্ধ হবে না, সেই বিষয়টিও এদিন তিনি আরও একবার স্পষ্ট করে দেন মমতা। একইসঙ্গে রাজ্যে চলা বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে খেলা হবে কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন মঞ্চে। উপস্থিত জনতার প্রবল সাড়া আরও একবার বুঝিয়ে দিল এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তাঁকে ঢাকের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। সভা শেষেও ঢাক বাজলে তার তালে হাততালি দিতে দেখা যায় তাঁকে। নিজস্ব চিত্র