কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পরিচয় হতেই অকপটে ‘বর্তমান’-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে উঠলেন ৬৮ বছরের সেকেন্দার সাহেব। জানালেন, এক সময় তিনি গোঁড়া সিপিএম সমর্থক ছিলেন। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ দপ্তরে চাকরি করার সময় সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিটু অনুমোদিত কর্মচারী সমিতির দায়িত্বশীল পদেও ছিলেন তিনি।
খোলামেলা আলাপচারিতায় জানালেন, সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ভালো কাজ’ বরাবরই সমর্থন করে এসেছেন তিনি।
সেকেন্দার আলি বলেন, শাহনওয়াজ এক সময় সংস্কৃতে একটি শ্লোক বলত। তাতে বলা ছিল বিদ্যা দান করলে বৃদ্ধি পায়। ওই শ্লোকটি আমারও ভালো লাগত খুব। রায়হান স্কুলে সংস্কৃত পড়েছিল। পরে সংস্কৃতে অনার্স নিয়ে পড়ার কথাও ভেবেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতা নিয়ে পড়ে সে। আমার ইচ্ছা ছিল ও অক্সফোর্ড, কেম্ব্রিজ বা হাভার্ডে গবেষণা করুক। আমার সেই ইচ্ছা পূরণ করেছে রায়হান। আমি খুব খুশি তাতে।
আচমকা ইংল্যান্ড থেকে রায়হান দেশে ফেরার কথা বলতে সেকেন্দার সাহেব জানতে পারেন, ছেলে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছে। তিনি বলেন, আমার ভালো লেগেছিল। আমি নিশ্চিত রায়হান প্রচুর ভোটে জিতবে। রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে রাজনীতি ও গণতন্ত্র নিয়ে ছেলে আলোচনা করেন বলেও জানান সেকেন্দার সাহেব।
তাঁর স্ত্রীর ব্লাড সুগার সহ কিছু সমস্যা রয়েছে। তাই ভোরে প্রচারে বেরিয়ে রায়হান যখন মধ্যরাতে বাড়ি ফেরেন তখনও তাঁর জন্য ঠায় অপেক্ষা করেন বাবা সেকেন্দার। তাঁর স্বপ্ন ছেলের নির্বাচনী সাফল্য শুধু নয়, ভোটে জিতে মানুষের পাশে থাকুক রায়হান।