কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
চকোয়াখেতিতে ২৪, পাতলাখাওয়ায় ১১ ও পূর্ব কাঁঠালবাড়ি পঞ্চায়েতে ২১টি বুথ আছে। লোকসভা ভোটে লিড পেতে তিনটি পঞ্চায়েতের ৫৬টি বুথে সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়েছিল তৃণমূল। লোকসভা ভোটে লিড পেতে মরিয়া দলের জেলা নেতৃত্বেরও আলাদা করে বিশেষ নজর ছিল তিনটি পঞ্চায়েতের ওই ৫৬টি বুথের দিকে। তৃণমূলের জেলা নেতাদের নির্দেশে দলের ব্লক নেতৃত্বের পাশাপাশি ৫৬টি বুথের কর্মীদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছিলেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালও। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল ভোটের পর দলের পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে প্রতিটি বুথের ভোটের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ব্লকের ওই তিনটি পঞ্চায়েতের বহু বুথেই পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভোট বেশি পড়েছে।
বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, আমাদের ধারণা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবাদে মহিলারা এবার ঢেলে ভোট দিয়েছেন। আর তাতেই নিশ্চিত এবার লোকসভা ভোটে আমার বিধানসভা কেন্দ্রের ওই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় দল লিড পেতে চলেছে।
সম্প্রতি চকোয়াখেতি পঞ্চায়েত এলাকায় মিনি টর্নেডো হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হওয়ায় ভোটের আগে বাড়ি তৈরির জন্য টাকা পেয়ে যাওয়ায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা উচ্ছ্বসিত ছিলেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ঘটনাও ভোটে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল তৃণমূলের পক্ষে। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার-১ ব্লক সভাপতি তুষারকান্তি রায় বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আমরাই ছিলাম। বিজেপি নেতারা তো ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ঝড়বিধ্বস্ত এলাকায় এসেছিলেন।
তবে পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের সময়েও তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছিল। তাছাড়া পঞ্চায়েত ভোটে গা জোয়ারি করেছিল তৃণমূল। তাহলে আলিপুরদুয়ার-১ ব্লকের ওই তিনটি পঞ্চায়েতে আমরা জিতলাম কী করে। ফলে তৃণমূলের কোনও অঙ্কই খাটবে না। ওই তিনটি পঞ্চায়েতে আমরাই লিড পেতে চলেছি।