কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
গত বছর বর্ষায় ভুটানের ধস ও হড়পাবানে জেডিএভুক্ত দলসিংপাড়া, জয়গাঁ-১ ও জয়গাঁ-২, তিনটি পঞ্চায়েতের রাস্তা, কালভার্ট, সেতু ও নিকাশি নালা ভেসে যায়। ধসে বুজে যায় নালা। ভেঙে চৌচির হয়ে যায় রাস্তাঘাট। ভুটান থেকে নেমে আসা জলে ধুয়ে যায় হাসিমারা ঝোরার সেতু ও কালভার্ট। ওই ঝোরার জলে প্লাবিত হয় জেডিএর তিনটি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা ও জয়গাঁ সদর এলাকা। ধসে সীমান্ত এলাকা জয়গাঁর রাস্তাঘাট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় সেসময়। জেডিএ’র পরিকাঠামোগত এই উন্নয়ন-কাজের জন্য গত বছর বর্ষার পরই সাড়ে ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। জেডিএ সূত্রে খবর, সাড়ে ১৮ কোটির মধ্যে বেশিরভাগ টাকাই দিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। সংশ্লিষ্ট দপ্তর দিয়েছে ১৪ কোটি টাকা। বাকি সাড়ে চার কোটি টাকার মধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর দিয়েছে তিন কোটি ও আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ দিয়েছে দেড় কোটি টাকা।
ভোট মিটে যাওয়ায় মঙ্গলবার জেডিএ চেয়ারম্যান মেচিয়াবস্তি, জিতু লাইন, তোর্সা বাগানের চা সুন্দরী কলোনি, দলসিংপাড়া, স্টেশন লাইন ও ভূলন চৌপথি এলাকায় উন্নয়নের কাজগুলি ঘুরে দেখেন। তোর্সা বাগানের চা সুন্দরী কলোনিতে রাস্তাঘাট ও নিকাশি নালার কাজ চলছে জোরকদমে।
জেডিএ চেয়ারম্যান বলেন, গত বর্ষায় ভুটান থেকে নেমে আসা ধস ও হড়পা বানে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট, কালভার্ট, নিকাশি নালা ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তারপরই পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু ভোটের কারণে বন্ধ ছিল সেই কাজ। আলিপুরদুয়ারে ভোট মিটে যাওয়ায় ফের কাজ শুরু করা হয়েছে। ভোটের আগে শুরু হওয়া ওই কাজ কোথাও ৩৫ শতাংশ ও কোথাও ৪০ শতাংশ এগিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, বর্ষার আগে জেডিএ’র তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার এই কাজ শেষ করা।