কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সেই পদক্ষেপের পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিজেপির মধ্যে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে সমর্থন করেছিল চাঁই সমাজ। ফলে সেবার মানিকচক ও বৈষ্ণবনগরে অন্যদের তুলনায় ফলাফলে এগিয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু এবারে চাঁই সমাজ প্রার্থী দেওয়ায় বিজেপির যে চিন্তা বাড়বে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সম্প্রতি বিজয়কুমার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর থেকে বিজেপির সাংগঠনিক সভাগুলিতে বিজয়ের ওঠাবসা শুরু। সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন অধ্যাপককে দেখা গিয়েছিল। গেরুয়া পোশাক পরে, হাতে রামের ফটো নিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির ঘুরে এসেছিলেন। বিজয় আশায় ছিলেন, বিজেপি দক্ষিণ মালদহ থেকে তাঁকে এবার টিকিট দেবে। কিন্তু বিজেপি তাঁকে নিরাশ করে। গেরুয়া শিবির চাঁই সমাজের কাউকে প্রার্থী না করে ইংলিশবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর নাম ঘোষণা করে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন শ্রীরূপা। কিন্তু কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেস নেতা তথা গনি খান চৌধুরীর ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরীর (ডালু) কাছে পরাজিত হন তিনি।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রে যাতে চাঁই সমাজের কোনও প্রতিনিধিকে প্রার্থী করা হয়, তার দাবি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও একাধিকবার বৈঠক করেছিলেন চাঁই সমাজের প্রতিনিধিরা। তারপরেও তাঁদের মধ্যে থেকে এবার প্রার্থী করেনি গেরুয়া শিবির। ফলে নির্দল প্রার্থী হিসেবে বিজয়কুমার সরকারকে মনোনয়নপত্র দাখিল করিয়েছে চাঁই সমাজ। চাঁই সমাজ সমর্থিত নির্দল প্রার্থী বিজয়ের বক্তব্য, কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমি চাঁই সমাজের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। সেজন্য মনোনয়ন দাখিল করেছি। চাঁই সমাজ আমার পাশে আছে।
যদিও নির্দল প্রার্থী বিজয়কে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, বিজয়কুমার সরকার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে চাঁই সমাজের সম্পর্ক নেই।
জেলা সহ সভাপতির সংযোজন, বিজয় এবারের লোকসভায় বিজেপির কাছে টিকিট দাবি করেছিলেন। কিন্তু এভাবে তো বিজেপির প্রার্থী হওয়া যায় না। দলের একটা সিস্টেম থাকে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পর্যালোচনাতেই প্রার্থী ঘোষণা হয়। পাশাপাশি সমাজে বিশেষ ভূমিকা থাকতে হয়।
বিজয়কে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতার বক্তব্য, সমাজে তাঁর (বিজয়) কোনও ভূমিকা নেই। তিনি তাঁর এলাকা থেকে চল্লিশের বেশি ভোট পাবেন না। বিজেপি না মানলেও রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজয় নির্দল প্রার্থী হওয়ায় চাঁই সমাজের ভোট এবার বিজেপিতে পড়বে না।
বিজেপি জেলা সহ সভাপতির দাবি, চাঁই সমাজের মানুষ বিজেপির পাশেই রয়েছেন।