কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন শ্রীরূপা। ২০১৯ সালে তিনি যখন মালদহ দক্ষিণ থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করেন, তখনকার হলফনামা অনুযায়ী শ্রীরূপার বিরুদ্ধে মাত্র একটি পুলিস কেস ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাঁর দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী শ্রীরূপার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সংখ্যা বেড়ে হয় দু’টি। একটি কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর, অন্যটি শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের নিউ জলপাইগুড়ি থানায়। ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন ও হলফনামা পেশ করেছেন এই বিজেপি বিধায়ক। সেই হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর রয়েছে। সর্বশেষ এফআইআরটি নথিবদ্ধ হয়েছে ইংলিশবাজার থানায়। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত হননি শ্রীরূপা।
হলফনামা অনুযায়ী, শ্রীরূপার অস্থাবর সম্পদের মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ধরা রয়েছে তাঁর ২০০ গ্রাম সোনার গয়না, যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। তাঁর স্বামী রামকৃষ্ণ মিত্রর অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২৭ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
২০১৯ এবং ২০২১ সালের হলফনামা অনুযায়ী, শ্রীরূপার তৎকালীন অস্থাবর সম্পদের মূল্য ছিল যথাক্রমে ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৯ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হলফনামা অনুযায়ী শ্রীরূপা বা তাঁর স্বামীর নামে স্থাবর সম্পত্তি পাঁচ বছর আগেও ছিল না। এখনও নেই। মালদহ দক্ষিণের এই বিজেপি প্রার্থীর কোনও ঋণও নেই।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সমাজকর্মী, নারী অধিকার আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী, লেখালেখি, ছবি আঁকা ইত্যাদিতেও যুক্ত বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন শ্রীরূপা।