ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
তবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করে রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। সেই সুপারিশে রাজভবন সিলমোহর দিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট হয়নি বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত। রাজভবন শেষ পর্যন্ত সম্মত হলে পবিত্রবাবুই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য হতে চলেছেন। তবে অনেকেরই বক্তব্য, রাজ্য সরকার ও রাজভবনের মধ্যে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যে দড়ি টানাটানি চলছে, তাতে না আঁচালে বিশ্বাস নেই। বৃহস্পতিবারও গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের দপ্তরে আসেন বর্তমানে উপাচার্যের দায়িত্ব সামলানো অধ্যাপক রজতকিশোর দে। ক্যাম্পাসে হাজির ছিলেন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। তিনি বলেন, নতুন উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ বা চিঠি এদিন বিকাল পর্যন্ত পাইনি। নতুন উপাচার্য নিয়োগ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে পারবে। জানা গিয়েছে, পবিত্র চট্টোপাধ্যায়ের নামই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে রাজভবনে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতে একমত হলে ছয় মাসের জন্য উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হবেন রসায়নের এই অধ্যাপক। গত বছর পূর্বতন উপাচার্য শান্তি ছেত্রীর দায়িত্বভার শেষ হওয়ার পর কিছুদিন শূন্য ছিল গৌড়বঙ্গের উপাচার্য পদ। পরে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট রজতকিশোর দে’কে উপাচার্যের দায়িত্ব সামলানোর ভার দেয় রাজভবন। কিন্তু এবছর ৩১ মার্চ আচমকাই তাঁকে অপসারণ করে রাজভবন। তার অব্যবহিত পরেই ১ এপ্রিল রজতকিশোরবাবুকেই উপাচার্যের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। ৫ এপ্রিল রজতকিশোরবাবুর উপাচার্যের দপ্তরে প্রবেশ আটকাতে নতুন নির্দেশ জারি করে রাজভবন। পাল্টা রজতকিশোরের দপ্তর খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল।