ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
এই লোকসভা আসনে সিপিএমকে হারিয়ে ২০০৯ ও ২০১৪ সালে কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হন। ২০১৯ সালে বিজেপির খগেন মুর্মু তৃণমূলের মৌসম বেনজির নুরকে ৮৪ হাজার ২৮৮ ভোটে পরাজিত করেন। বিজেপির ঝুলিতে যায় ৫ লক্ষ ৯ হাজার ৫২৪টি ভোট। ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ২৩৬টি ভোট পায় তৃণমূল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৩ লক্ষ ৫ হাজার ২৭০টি ভোট। তৃণমূল ও কংগ্রেসের ভোটকাটাকুটির জেরে অপ্রত্যাশিতভাবে বিজেপি সেবার জিতে যায়। তৃণমূল জেলা সভাপতি বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, বিগত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের সাফল্যের ট্রেন্ড এবারও প্রতিফলিত হবে। তৃণমূলের সংগঠন অনেক বেশি মজবুত। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা বৃদ্ধি সহ অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তৃণমূলের ভোট বাক্সে যাবে। বিজেপি জাতপাতের অঙ্কে ভোট বিভাজন করে জিততে চাইছে। কিন্তু মানুষ এবার ভুল করবেন না।
তবে বিজেপি সাংসদের কাজে এলাকার মানুষ খুব একটা সন্তুষ্ট নন। সেই ক্ষোভ কাজে লাগিয়ে তৃণমূল রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে ভোট প্রচারে হাতিয়ার করছে। তৃণমূল প্রার্থী জেলার প্রাক্তন পুলিস কর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। এবার মালদহে ঘাসফুল ফুটবে বলে বিশ্বাস প্রসূনের।
যদিও বিজেপির বিদায়ী সাংসদ খগেন মুর্মুর মন্তব্য, তৃণমূল দিবাস্বপ্ন দেখছে। রাজ্য সরকার উন্নয়নের পরিবর্তে দুর্নীতি করেছে বেশি। মানুষ ভোটের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জবাব দেবেন। দিল্লিতে সরকার গড়ার জন্য মানুষ আবার বিজেপিকে নির্বাচিত করবেন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হবিবপুর, গাজোল ও মালদহ বিজেপি এবং চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতীপুর ও রতুয়া তৃণমূলের দখলে যায়। সেবার এনআরসি ইস্যুতে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ভোট ভাগ হয়েছিল। তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছিল চাঁচল মহকুমার চার বিধানসভার সংখ্যালঘু ভোট। এবার কেন্দ্রে বিজেপিকে রুখতে তাদের ভোট কংগ্রেসে স্যুইং করতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও তৃণমূলের দাবি, সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলেই থাকবে। তবে এই কেন্দ্রে যে জোর ত্রিমুখী লড়াই হবে এতে কোনও সংশয় নেই। বিজেপি, কংগ্রেস ও তৃণমূল তিন দলই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
মালদহ উত্তরের বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলমের মন্তব্য, মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে আর ভুল করবেন না। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশের উন্নয়নের পরিবর্তে বিভাজনের রাজনীতি করেছে। তাই গোটা দেশের সঙ্গে এই কেন্দ্রের মানুষ বিজেপিকে পরাস্ত করে ইন্ডিয়া জোটকে জয়ী করবেন। তৃণমূল এই কেন্দ্রে ফ্যাক্টর নয়।