মেহেবুব হোসেন সরকার, তপন: দীর্ঘদিন জেনারেটর নেই। টর্চ লাইট জ্বালিয়ে পরিষেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক। পেশেন্ট দেখছেন টর্চ লাইট জ্বালিয়ে। লোডশেডিং হলেই অন্ধকারে ডুবে যায় তপন গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বর। চত্বর। লোডশেডিং হলে হাসপাতালের একমাত্র ভরসা একটি মাত্র ইনভার্টার। সেটি দিয়ে হাসপাতালের কিছু অংশে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হলেও অধিকাংশই অন্ধকারে থাকে। তপন গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অঙ্কুর দাস কর্মকার বলেন, অনেকদিন থেকেই হাসপাতালে জেনারেটর নেই। তবে জেনারেটরের জন্য আমরা রিকুইজিশন (আবেদন) পাঠিয়েছি। সম্ভবত নির্বাচনের পরেই জেনারেটরের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আপাতত বিদ্যুত্ বিভ্রাটের সময় ইনভার্টার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা হাসপাতালে থাকা রোগীদের একাংশের। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মধ্যে আয়তনে বৃহত্তম ব্লক তপন। প্রত্যন্ত তপন ব্লক তপশিলি অধ্যুষিত এলাকা। অনেক প্রসূতি, গর্ভবতী ভর্তি হন তপন গ্রামীণ হাসপাতালে। ৩০ শয্যার এই হাসপাতালে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য দুটি আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। গরমের সময় বাড়ে মশার উপদ্রব। তার উপর বিদ্যুত্ বিভ্রাট হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসক থেকে শুরু করে রোগীদের। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জেনারেটরহীন তপন হাসপাতালে পরিষেবা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।
এবিষয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোগীর আত্মীয় প্রসেনজিৎ মিঁয়া বলেন, আমার শাশুড়ি ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। গতকাল আমি হাসপাতালেই ছিলাম। লোডশেডিং হওয়ার পর দেখি টর্চ লাইট জ্বালিয়ে পরিষেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক, পেশেন্ট দেখছেন টর্চ লাইট জ্বালিয়ে। রোগীদের মশার কামড় খেতে হচ্ছে, বাতির কোনও ব্যবস্থা নেই। আমরা চাই দ্রুত হাসপাতালে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হোক।
এক রোগীর আত্মীয় খুরশিদ আলমের মন্তব্য, বিদ্যুৎ চলে গেলে এই গরমের মধ্যে ভীষণ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। সমস্যা হচ্ছে চিকিৎসকদেরও। আমরা চাই তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান করা হোক।