কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা এলাকার বরুণা অঞ্চল থেকে শুরু করে সারাদিনব্যাপী প্রচারে ঝড় তোলেন রাজীববাবু ও প্রবীরবাবু। মন্ত্রী রাজীববাবু কালিয়াগঞ্জ শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পিরতলায় একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় মুখ্যমন্ত্রীর জনকল্যাণমূলক প্রকল্প পরিকল্পনা সম্পর্কে মানুষকে জানান। তাঁদের বক্তব্যে মুহুর্মুহু করতালি পড়ে। পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হলে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ২৫০ করে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। একইভাবে প্রবীরবাবু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে বিভিন্ন জনহিতকর প্রকল্প চালু করেছেন সে সম্পর্কে বলেন। এদিন প্রচার সভায় রাজীববাবু বলেন,আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে এই বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। দেশের মধ্যে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য পরিষেবা প্রকল্প চালু করেছেন। কালিয়াগঞ্জ পুরসভা আমাদের হাতে আসার পর আমরা অনেক উন্নয়ন করেছি। আপনাদের কাছে অনুরোধ করব একবার অন্তত পক্ষে আমাদের দলীয় প্রার্থীকে বিধানসভায় পাঠান আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা ঢেলে সাজিয়ে দেব। ২৫০ বেডের হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হবে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালকে। তৃণমূল একমাত্র দল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি বছরের ৩৬৫ দিনই মানুষের পাশে থেকে মানুষের হয়ে কাজ করেন। বিজেপি শুধু ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে আর কিছুই নয়।
বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল বলেন, আপনারা বিজেপিকে ভোট দিয়ে দেখেছেন এখনও পর্যন্ত কোনও ধরনের উন্নয়নে কাজ তারা করে উঠতে পারেনি। তবে গত আট বছরে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের রাজ্যকে ঢেলে সাজিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপির সভায় এদিন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং বালুরঘাটের এমপি যথাক্রমে নিশীথ প্রামাণিক, জয়ন্ত রায় এবং সুকান্ত মজুমদার সহ দলের জেলা নেতৃত্ব কালিয়াগঞ্জের অনন্তপুর, শেরগ্রাম, ফতেপুর, বড়ুয়া এলাকায় জোরদার প্রচার করেন। বিভিন্ন এলাকায় এনআরসি নিয়ে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তা সম্পূর্ণ তৃণমূলের মিথ্যা প্রচার বলে তাঁরা দাবি করেন। মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের দাবিও করেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দল তাদের চরিত্র দেখিয়ে দিয়েছে। সেই আতঙ্ক কাটাতে বিজেপিই একমাত্র বিকল্প।