টোকিও: তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৪। বুধবারের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অন্তত নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ৮২১। এছাড়াও অন্তত ১২৭ জন ধংসস্তূপের নীচে আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পাহাড়ঘেরা এই দ্বীপরাষ্ট্রে ভূকম্পের ঘটনা নতুন নয়। তবে বুধবারের ওই কম্পন ১৯৯৯ সালের ভয়াবহ স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছে। ২৫ বছর আগের ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সরকারি সূত্রে খবর, ভূকম্পের পরই তাইওয়ান সংলগ্ন জাপান ও ফিলিপিন্সে সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাইওয়ানের ঘটনায় আমি মর্মাহত। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। জখমদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আমরা তাইওয়ানের মানুষের পাশে আছি।’ 
এদিকে আগামী কয়েকদিন তাইওয়ানবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে, আরও ক’দিন কম্পনের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। তাইপেইয়ের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর ওয়াউ চিয়েন-ফু বলেন, ‘ভূখণ্ডের অত্যন্ত কাছে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। গোটা তাইওয়ানই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত। বুধবার সকাল আটটা নাগাদ প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। তারপর বেশ কয়েকটি আফ্টারশক।  হুয়ালিয়েন শহরের দক্ষিণ উপকূল ছিল ভূকম্পের উৎসস্থল।  
জানা যাচ্ছে, তোরোকো ন্যাশনাল পার্কের কাছে পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে গিয়ে বোল্ডারের আঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। পাহাড়ি এলাকার এই পার্কে এখনও প্রায় হাজার খানেক পর্যটক আটকে পড়েছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উদ্ধারের জন্য বিশেষ দল রওনা দিয়েছে। এছাড়া টানেল দিয়ে যাওয়ার সময় এক ট্রাক চালক ধসে মারা যান। অন্যদিকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আরও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।