আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে ভর করে মার্কিন পণ্যগুলির উপর ভারতের চাপানো শুল্কের ‘মাত্রাতিরিক্ত হার’ নিয়ে এর আগেও বারবার সরব হতে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পকে। ভারতকে ‘শুল্কের রাজা’ বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে ফের এই ইস্যুতে সুর চড়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যাকে মোদি সরকারের উপর পরোক্ষে চাপ সৃষ্টির কৌশল হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। বৃহস্পতিবার সকালে ওসাকা যাওয়ার পথে ট্রাম্পের ট্যুইট, ভারত বহু বছর ধরে আমেরিকার উপর অতি চড়া শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদির সঙ্গে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করে রয়েছি। অতি সম্প্রতি এই শুল্ক আরও বাড়ানো হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে।
লোকসভা ভোটে বিশাল জয় পেয়ে বিজেপি ক্ষমতায় ফেরার পর ওসাকাতেই প্রথম প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক হতে চলেছে ট্রাম্পের। তার ঠিক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এরকম একটি ট্যুইট নিশ্চিতভাবেই মোদি সরকারের কাছে বিড়ম্বনার কারণ। ঘটনাচক্রে একদিন আগেই মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও নয়াদিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও কথা হয়েছে পম্পেওর। আলোচনা হয়েছে বাণিজ্য ও অর্থনীতি সহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে।
গত বছর মার্চে ভারতের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর উল্লেখযোগ্যভাবে শুল্কের মাত্রা বাড়িয়েছিল আমেরিকা। পাল্টা হিসেবে ভারতও গত বছর ২১ জুন পেস্তা, ডাল ও আখরোট সহ ২৮টি মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করে। যা ট্রাম্প প্রশাসনের মাথাবেথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বখ্যাত মোটরবাইক হার্লে-ডেভিডসনের উপর ভারত ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার পর তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন ট্রাম্প। ভারত থেকে আমেরিকায় রপ্তানি হওয়া মোটরবাইকেও শুল্ক বাড়ানোর পাল্টা হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারিতে হার্লে-ডেভিডসনের উপর আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৫০ শতাংশ করে মোদি সরকার। শুল্ক নিয়ে এই পারস্পরিক সংঘাত চলছিলই। জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্পের এদিনের ট্যুইট নিশ্চিতভাবে এবিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোর আরও বাড়িয়ে দেবে।