মেলবোর্ন, ৭ মার্চ (পিটিআই): অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত দন্ত চিকিৎসক খুনের ঘটনায় নতুন তথ্য হাতে এল পুলিসের। প্রীতি রেড্ডি নামে বছর বত্রিশের ওই মহিলাকে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক হর্ষ নার্দে খুন করেছে বলেই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। নতুন পাওয়া তথ্যে তাঁদের সেই সন্দেহ আরও পোক্ত হয়েছে। পুলিসের দাবি, প্রীতি সম্পর্কে ইতি টানলেও এই বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারছিলেন না হর্ষ। তিনি নিজেও পেশায় দন্ত চিকিৎসক ছিলেন। শুধু প্রীতিকে একঝলক দেখবেন বলে ৪০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ট্যামওয়ার্থ থেকে সিডনি এসেছিলেন তিনি। প্রীতি হর্ষকে জানিয়েছিলেন, তিনি অন্য একটি পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন এবং ওই সম্পর্কটিকে তিনি বেশ গুরুত্বই দিচ্ছেন। অস্ট্রেলীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, প্রীতি জানিয়েছিলেন, তিনি যেমন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন, হর্ষেরও সেইভাবেই সম্পর্কটি ভুলে যাওয়া উচিত। নতুন পুরুষবন্ধুর সঙ্গে তিনি মেলবোর্নে চলে যাবেন বলেও হর্ষকে জানিয়েছিলেন প্রীতি। শনিবার রাতে শেষবার দু’জনে হাসিমুখে কথা বলতে দেখেছিলেন হর্ষ ও প্রীতির এক সহকর্মী। পুলিসের হাতে আসা একাধিক তথ্য-প্রমাণও হর্ষের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে জানা গিয়েছে।
গত রবিবার রাত থেকে নিখোঁজ হন প্রীতি। ওইদিন সকাল এগারোটায় শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। কিন্তু, গভীর রাত পর্যন্তও প্রীতি বাড়ি না ফেরায় পরিজনরা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এদিকে, পরদিন অর্থাৎ সোমবার রাতে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক হর্ষের একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। নিউ সাউথ ওয়েল্স পুলিস জানিয়েছে, নিউ ইংল্যান্ড হাইওয়ের উপর একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় হর্ষের বিএমডবব্লিউ’র। ঘটনাস্থলেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। এরই ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ইস্টার্ন সিডনি স্ট্রিটে পার্ক করা গাড়ির ভিতর থেকে স্যুটকেস -বন্দি অবস্থায় প্রীতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহে ধারাল অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিস। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতে মূল সন্দেহভাজনেরই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ায় রহস্য ভেদ করতে গিয়ে অথৈ জলে পড়েছেন তদন্তকারীরা।