কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এই লোকসভা কেন্দ্রে এবার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ রাজেন্দ্র আগরওয়ালকে টিকিট দেননি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। পরিবর্তে রাম আবেগকে উস্কে দিতে প্রার্থী করা হয়েছে টিভি সিরিয়ালের ‘রাম’ অরুণ গোভিলকে। যদিও রাজেন্দ্র আগরওয়াল মিরাটের তিনবারের সাংসদ। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে তো বটেই। এমনকী ২০০৯ সালে ইউপিএ আমলেও মিরাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপিকে জিতিয়েছিলেন তিনি। কার্যত সেই ‘ঘরের ছেলে’র এবার টিকিট না পাওয়াকে কেন্দ্র করে মিরাটে সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে অসন্তোষের চোরাস্রোত বইছে। সাধারণ পার্টিকর্মীদের একাংশের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। মিরাটজুড়ে এহেন রাজনৈতিক ওঠাপড়ার ছবি অনেকটাই স্পষ্ট। মিরাটের দিল্লি রোডের বিস্তীর্ণ অংশে কাজ চলছে ‘রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম’-এর (আরআরটিএস)। মেট্রো প্লাজা মোড়ের পাঞ্জাবি ধাবার কর্মী রাজবীর রাঠি আঙুল দিয়ে দেখান কাজের অগ্রগতি। বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদির হাতযশ যতটা, এতে রাজেন্দ্র আগরওয়ালের উদ্যোগও কিছু কম নয়। তিনি সত্যিই আমাদের ঘরের ছেলে।’
বহিরাগত এবং ঘরের ছেলে—বিজেপির অন্দর এই ইস্যুতে চাপানউতোরের বিষয়টি অজানা নয় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলিরও। আর তাই নিজেদের প্রচারে এই বিষয়টি নিয়ে সরবও হচ্ছে তারা। মিরাটে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রার্থী হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সুনীতা ভার্মা। বহুজন সমাজ পার্টি প্রার্থী করেছে ডি কে ত্যাগীকে। যদিও এহেন ক্ষোভ-বিক্ষোভের জল্পনা বেমালুম উড়িয়ে দিয়েছে মিরাট বিজেপি নেতৃত্ব। দলের মিরাট জেলা সভাপতি শিবকুমার রানা বলেন, ‘দলের অন্দরে কোনও ক্ষোভ নেই। রাজেন্দ্র আগরওয়াল দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারও করেছেন। আগামীতেও করবেন। এটাই বিজেপির শৃঙ্খলা। আমরা প্রত্যেকেই মোদি পরিবারের অংশ।’