পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
আগামী ৭ মে গুজরাতের ২৬ আসনে ভোট। রাজ্যের দাহোদ, ছোটা উদয়পুর, বারদোলি ও ভালসাদ—চারটি আসন তফসিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। ভারুচ সাধারণ আসন হলেও সেখানে আদিবাসীদের সংখ্যাও কম নয়। একটা সময় রাজ্যের আদিবাসী প্রধান অঞ্চলগুলিতে রমরমা ছিল কংগ্রেসের। সেই দাপট ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যেই গতমাসে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ গিয়েছে ওই লোকসভা এলাকাগুলি ধরেই।
২০২২ সালের বিধানসভা ভোটে এই এলাকার ভারুচ লোকসভার অন্তর্গত সংরক্ষিত দেন্ডিপাড়া আসনে জয় পেয়েছিল আপ। যদিও পরে পরিসংখ্যানের বিচারে দেখা যায়, বিজেপি-বিরোধী আদিবাসী ভোট ভাগ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস ও আপের মধ্যে। অতীতের সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস ও আপ। তাদের সঙ্গে ইন্ডিয়া মঞ্চে এসেছে ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি (বিটিপি)। আসন সমঝোতার হিসেব অনুযায়ী, ভারুচ ও ভাবনগর আসন আপকে ছেড়েছে কংগ্রেস। ভারুচ সংরক্ষিত আসন না হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি ও বিরোধী জোট—দুই দলই আদিবাসী প্রার্থী দিয়েছে এই আসনে। বিজেপির বর্তমান সাংসদ মনসুখ ভাসাভার সঙ্গে লড়াই দেডিয়াপাড়ার আপ বিধায়ক চৈতার ভাসাভার। এবারের ভোটে ভারুচ আসনে জয় নিয়ে অনেকটাই আশাবাদী ইন্ডিয়া শিবির। যদিও প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমিত ঢোলাকিয়া এব্যাপারে বিরোধী শিবিরের জন্য কোনও আশার আলো দেখছেন না। তিনি বলেছেন, ‘একথা ঠিক যে, ভারুচে আপ প্রার্থী কড়া টক্কর দেবেন। কিন্তু জয়ের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং আরএসএসের কর্মকাণ্ড আদিবাসী মহলে বিজেপির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছে। তাছাড়াও কংগ্রেসে এখন কোনও প্রভাবশালী আদিবাসী নেই। যাঁরা ছিলেন, তাঁরা একে একে বিজেপিতে ভিড়েছেন।’
সাম্প্রতিককালে ভোটে বিপর্যয় সত্ত্বেও এবার এই অঞ্চলে ইতিবাচক ফলের বিষয়ে আশাবাদী কংগ্রেস। ভালসাদের প্রার্থী অনন্ত প্যাটেল বলেছেন, ‘গত বিধানসভা নির্বাচনে আপ ও কংগ্রেসের ভোট যোগ করলে আমরা ৫৯ আসনে এগিয়ে ছিলাম। এবার জোট হওয়ায় উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলিতে আমরা বড় ব্যবধানে জিতব। রাহুল গান্ধীর যাত্রা ঘিরে এই এলাকায় আদিবাসী ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে তুমুল উৎসাহ ছিল।’ তাঁর আরও দাবি, ‘জমি অধিগ্রহণ ইস্যুতে ক্ষোভ রয়েছে আদিবাসীদের মধ্যে। এছাড়াও স্কুল ও হাসপাতালের অভাবেও ধুঁকছে এই এলাকা।’ যদিও কংগ্রেস প্রার্থীর এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাদের মতে, গুজরাতের জনমত থাকবে পদ্ম-শিবিরের সঙ্গেই।