শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
এদিকে, ইসরোর পক্ষ থেকে আগেই দাবি করা হয়েছিল, যাত্রাপথে জ্বালানি ব্যবহার কম হওয়ায়, অরবিটারটি কক্ষপথে আরও বেশি সময় ঘুরতে সক্ষম হবে। প্রাথমিকভাবে অরবিটারটি একবছর চাঁদের কক্ষপথে ঘুরবে, সেরকম লক্ষ্য ধরেই সেটিকে পাঠানো হয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে জানানো সেটি ২-৫ বছর সক্রিয় থাকবে। আরও পরে ইসরোর বিজ্ঞানীদের একাংশ দাবি করেন, সেটি প্রায় সাত বছর চাঁদের কক্ষপথে কাজ করতে সক্ষম। যদিও এবিষয়ে সরকারিভাবে এখনও ইসরোর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে চন্দ্রযান-২’এর অরবিটারের কাজ করার আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এখন দেখার সেটি কতদিন সফলভাবে কাজ করে। এখানে উল্লেখ্য, চন্দ্রযান-১’এর অরবিটারের আয়ুষ্কাল একবছর থাকলেও, সেটি আট মাস কাজ করার পর তার সঙ্গে ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। যদিও এবার সেটি অনেক বেশি দিনই কাজ করবে বলে ইসরোর বিজ্ঞানীরাও আশাবাদী।
অন্যদিকে, বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করার আশা প্রায় শেষ হওয়া প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীদের দাবি, অরবিটার যে ছবি পাঠিয়েছে, তা এখনও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এমনকী সম্প্রতি নাসাও ওই একই জায়গার ছবি তুলে তা বিশ্লেষণ করার কাজ শুরু করেছে। কিন্তু, কোনও জায়গা থেকেই এখনও সেভাবে আশার কোনও আলো দেখা যাচ্ছে না। নাসার বিজ্ঞানী জন কেলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নতুন ছবিগুলি ইতিমধ্যে পেয়েছেন। সেগুলির সঙ্গে পুরনো ওই জায়গার ছবিকে একসঙ্গে বসিয়ে বিশ্লেষণ করা হবে। সেখানেই ল্যান্ডারকে খোঁজা হবে। তবে বিক্রম যেখানে নেমেছে, সেই জায়গার উপর দিয়ে সম্প্রতি যখন নাসার অরবিটার গিয়েছে, তখন ওই অংশে সন্ধ্যা নামছিল। সেই কারণে ওই স্থানের বেশিরভাগ অংশ ছায়া ঢাকা ছিল। তাই আদৌ বিশেষ কিছু পাওয়া যাবে কি না, সেবিষয়ে কেউই নিশ্চিত নন। এর মধ্যেই ২১ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানের আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই তার মধ্যে আর যোগাযোগ সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এবিষয়ে এখনও সরকারিভাবে ইসরোর পক্ষ থেকে কিছু ঘোষণা করা হয়নি।