বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
সমালোচনার লক্ষ্য হিসেবে মূল ধারার শিক্ষণ পদ্ধতির পরিবর্তে দূরশিক্ষা, অনলাইন শিক্ষায় জোর দেওয়া, মৌলিক শিক্ষার পরিবর্তে অতিরিক্ত কর্মমুখী শিক্ষায় জোর দেওয়া প্রভৃতি বিষয়গুলি রয়েছে। প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত শিক্ষা পরিচালনায় রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। যার চেয়ারপার্সন হবেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। ভাইস চেয়ারপার্সন হবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। বাকি সদস্যরা হবেন সরকারের নানা দপ্তরের মন্ত্রী, আধিকারিক বা কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাঁদেরই মনোনীত কয়েকজন শিক্ষাবিদ থাকবেন। এর ফলে শিক্ষায় রাজ্যের ভূমিকা একেবারেই অস্বীকার করা হচ্ছে। শিক্ষার বেসরকারিকরণ, গৈরিকীকরণ, ইংরেজিকে গুরুত্বহীন করে দিয়ে জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া, ভারতীয় নবজাগরণের দুই পথিকৃৎ রামমোহন রায় ও বিদ্যাসাগরকে পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া, ভারতীয়ত্বের নামে অবৈজ্ঞানিক এবং মধ্যযুগীয় পাঠ্যক্রম চালুর মতো বিষয়গুলির কড়া নিন্দা করেন কমিটির সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক কার্তিক সাহা এবং যাদবপুরের অধ্যাপক তরুণকান্তি নস্কর প্রমুখ।
কমিটির তরফে ২৪ জুলাই ডিআই অফিসে বিক্ষোভ এবং রাজ্যপালের উদ্দেশে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। ২৮ জুলাই গুজরাতে সর্বভারতীয় সভা হবে। ২২ আগস্ট কলকাতায় কেন্দ্রীয় কনভেনশন হবে, যাতে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবীরা অংশ নেবেন। এছাড়াও এলাকাভিত্তিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সভা, সেমিনার এবং কনভেনশনের আয়োজন করে প্রচার এবং জনমত গঠন করা হবে।