পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
ইংরেজিতে কম নম্বর ওঠার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণের কথা বলছেন শিক্ষকরা। তাঁদের একাংশের মতে, ইংরেজির প্রশ্ন এবার খানিকটা কঠিনই হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সৃজনশীল লেখার ক্ষমতা দিন দিন কমছে। তাছাড়া, এবার কবিতা থেকে ‘সিন’ অংশের প্রশ্ন এসেছে। ‘আনসিন’-এর অংশটিও বেশ কঠিন ছিল। গ্রামার ও ভোকাবুলারির অংশটিও গড়পড়তা ছাত্রছাত্রীর পক্ষে শক্ত ছিল। শিক্ষকদের বক্তব্য, ৯০-এর মধ্যে ৪২ নম্বরের প্রশ্ন এতটাই কঠিন ছিল যে এর মধ্যে ২-৩ পাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম নয়। তবে নতুন পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষকদের হাতে পড়ে নম্বর কম ওঠার বিষয়টিও তাঁরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
পূর্ব মেদিনীপুরের ডিমারি হাইস্কুলের ছাত্রী অনুষ্কা মাজি মোট ৬২৪ নম্বর পেয়েছে। সব সব বিষয়েই তার নম্বর ৯০ শতাংশের উপরে (অর্থাৎ গ্রেড এএ)। গণিতে নম্বর ৯৮। অথচ ইংরেজিতে তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৩। তাঁর বাবা অসিত মাজি বলেন, ‘মেয়ে ইংরেজিতে দুর্বল হলে অন্য কথা ছিল। টেস্টেও ৯৪ নম্বর পেয়েছিল ইংরেজিতে। মাধ্যমিকেও যা উত্তর করে এসেছে, তাতে ৯০-এর উপরেই নম্বর পাওয়ার কথা।’ শুধু অনুষ্কাই নয়, তার স্কুলের অন্যান্য সহপাঠীদেরও একই অবস্থা। এমনকী, সব বিষয়ে ৯০-এর উপরে পেয়ে ইংরেজিতে ৬-এর ঘরে নম্বরও পেয়েছে অনেকে। সোমবার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে রিভিউয়ের আবেদন করবেন বলে জানান অসিতবাবু।
পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, ‘আমার স্কুলের প্রতিবেশী একটি গার্লস স্কুলে একই সমস্যা। সেখানে ইংরেজির পাশাপাশি বহু ভালো পড়াশোনা করা ছাত্রীর ভূগোলের নম্বরও কম এসেছে।’ প্রসঙ্গত, ভূগোলে এবার ‘এএ’ প্রাপকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তাহলে এই সমস্যা কেন? কৃষ্ণাংশুবাবুর যুক্তি, এ বছর প্রচুর নতুন পরীক্ষক এবং প্রধান পরীক্ষক নিয়োগ করেছে পর্ষদ। অভিজ্ঞতার অভাবে তাঁরা গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে মেনে খাতা দেখতে গিয়ে কড়া হয়েছেন। অনভিজ্ঞতার কারণে প্রধান পরীক্ষকেরও চোখও তা এড়িয়ে যেতে পারে। তবে পর্ষদের নিজস্ব একটি যাচাই প্রক্রিয়া রয়েছে। কোনও পরীক্ষার্থী সব বিষয়ে বেশি নম্বর পেলে, একটিতে কম পেলে প্রধান পরীক্ষককে ফের সেই খাতা দেখার নির্দেশ দেয় পর্ষদ। তবে ইংরেজির উত্তরে নম্বরের বিষয়টি যেহেতু আপেক্ষিক, তাই হয়তো খুব একটা পরিবর্তন হয়নি।