পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি। কারণ, অভিযোগকারিণীর কথার সূত্র ধরে রাজ্যের সমাজ কল্যাণমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী শশী পাঁজা দাবি করেছেন, রাজ্যপালের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একাধিক মহিলা। মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে সেই সুর। ঘটনার নিন্দা করে তিনি বলেছেন, ‘শুনে রাখুন আমার কাছে একটা নয়, হাজারটা ঘটনা এসেছে। কোনও দিন কোনও কথা বলিনি। কিন্তু মেয়েটির কান্না হৃদয়ে আঘাত করেছে। পরপর দু’বার শ্লীলতাহানির অভিযোগ হয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে চক্রান্ত করার আগে একবার নিজেদের দিকে তাকান। তারপর কথা বলবেন।’ এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজভবনের ওই কর্মী। তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অবশ্য সমস্ত রকম পদক্ষেপ নিয়েছে লালবাজার। আবার পুলিসের থেকে এব্যাপারে রিপোর্ট তলবের কথা জানিয়েছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন রানিগঞ্জের সভা থেকে এই ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘বাংলার রাজ্যপালের মেয়ের বয়সি একজন থানায় গিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছে। এদের কাছে নারী সম্মান শিখব?’ বৃহস্পতিবার রাতে পুলিস এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের রাজভবনে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু এর কোনও লিখিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। ফলে তদন্তের স্বার্থে বিশেষ দলের রাজভবনে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা ছিল না। চন্দ্রিমাদেবীর দাবি, রাজভবনে প্রবেশ আটকানোর অধিকার নেই রাজ্যপালের। রাজভবন কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়।