পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
এদিকে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এহেন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে নির্বাচনী জনসভা থেকে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল কী করছেন দেখুন। রাজভবনে মহিলাদের শ্লীলতাহানি করছেন। আর সেখানেই প্রধানমন্ত্রী এসে থাকলেন, কিছু বললেন না’। একই সুরে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘রাজ্যপালের ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাংলার মানুষের উচিত রাজভবনকে বয়কট করা। সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করলেন না কেন? মেয়ের বয়সি এক স্টাফের শ্লীলতাহানি করে অন্য রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছেন। লুকনোর কিছু না থাকলে পালালেন কেন?’ এদিন এই অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন বিহারের পাটলিপুত্রের আরজেডি প্রার্থী তথা লালুপ্রসাদ যাদবের মেয়ে মিশা ভারতী। তিনি এই অভিযোগের যথাযথ তদন্ত দাবি করার পাশাপাশি তৃণমূলের সুরেই বিজেপিকে তোপ দেগেছেন।
অভিযোগপত্রে তরুণী দাবি করেছেন, তিনি রাজভবনের একটি কোয়ার্টারে থাকতেন। ২৪ এপ্রিল ও ২ মে রাজ্যপাল তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। তাঁকে চাকরিতে পদোন্নতির লোভ দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। লালবাজার সূত্রে খবর, ওই দু’দিন তরুণী রাজভবনের কোয়ার্টার থেকে কখন বেরিয়েছেন, মূল ভবনে কখন ঢুকেছেন, সারাদিন কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, সবটাই যাচাই করে দেখছেন তদন্তকারীরা। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখার জন্য সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী কোনও ফৌজদারি অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মরত রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা যায় না। তবে অনুসন্ধানে বাধা নেই। সেই মতো অভিযোগের ভিত্তিতে রাজভবনের অন্যান্য কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, রাজভবনের ইপিএবিএক্স বিভাগে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করতেন ওই তরুণী। ওই বিভাগের আরও যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদিন বিকেলেই রাজভবন থেকে চারজন কর্মীকে ডেকে পাঠায় সেট। তাঁদের বিকেল ৪টের মধ্যে হেয়ার স্ট্রিট থানায় দেখা করতে বলা হয়। সূত্রের খবর, অভিযোগকারিণী সম্পর্কে তাঁদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ‘ঘটনার দিন’ অভিযোগকারিণী তাঁদের এ প্রসঙ্গে কিছু বলেছিলেন কি না, জানতে চাওয়া হয় তাও। ওই কর্মীদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনতে চাননি তদন্তকারীরা। পুলিস সূত্রে দাবি, ফের ওই কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। রাজভবনের অন্যান্য বিভাগের কর্মীদেরও তলবের সম্ভাবনা রয়েছে।